ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজেদের দূত প্রত্যাহার করেছে তুরস্ক
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজেদের দূত প্রত্যাহার করেছে তুরস্কযুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেলআবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশ দুটি থেকে নিজেদের দূতদের প্রত্যাহার করেছে তুরস্ক।
তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী বেখির বোজদাগের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল থেকে দূতদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ওয়াশিংটনের তুরস্ক দূতাবাস ওই খবরটি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
দূত প্রত্যাহারের বিষয়টি কতদিন বজায় থাকবে, এমন প্রশ্নে ওই দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, “এ পর্যায়ে আমাদের তা জানা নেই।”
‘সলাপরামর্শের’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
সম্প্রতি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রে দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
সোমবার জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস উদ্বোধনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, “সমাধানের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওই সমস্যার অংশ হওয়াই পছন্দ করেছে।”
সোমবার যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে তিনি বলেছেন, “শেষ এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র নিজের ভূমিকা খুইয়েছে।”
লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে দেওয়া বক্তৃতায় এরদোয়ান আরও বলেছেন,“যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন খুব দুর্ভাগ্যজনক। আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গকারী এই সিদ্ধান্তকে আমরা আরও একবার প্রত্যাখ্যান করছি।”
এই বক্তব্যে এরদোয়ান ইসরায়েলকে ‘একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ এবং ‘ইসরায়েল যা করছে তা গণহত্যা’ বলেও মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে আনাদোলু।
সোমবার জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে সংঘর্ষ চলাকালে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও দুই হাজার ৭০০ জন আহত হন।
এ ঘটনার জন্য হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা পুরোপুরি ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল হামাসকে দায়ী করেছে।
গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে তুরস্ক সরকার।