সাতক্ষীরার আশাশুনিতে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত জয়দেব সরকার আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামের নির্মল সরকারের ছেলে ও বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। নিহত স্কুল ছাত্রী একই গ্রামের প্রশান্ত দাসের মেয়ে ও গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
নিহত স্কুলছাত্রীর বাবা প্রশান্ত দাস জানান, তার মেয়ে প্রতিবেশী নির্মল সরকারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে অম্বিকা সরকারের কাছে প্রতিদিন বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যায়। রোববার বিকেলে অম্বিকা বাড়িতে না থাকায় তার ভাই জয়দেব সরকার প্রশান্ত দসের মেয়ে প্রাইভেট পড়িয়ে বাড়িতে রেখে সন্ধ্যায় দোকান থেকে খাবার কিনে তাকে আবার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে জয়দেব। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মারা গেছে ভেবে তাকে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন জয়দেব।
তিনি আরও জানান, গ্রামবাসী সুষ্মিতাকে খুজতে থাকালে জয়দেব তার মেয়ের মরদেহ পুকুর থেকে তুলে নিজের টয়লেটে ফেলে রাখে। পরে রাত ১১টার দিকে জয়দেবের বাড়ির টয়লেট থেকে পুলিশ প্রশান্ত দাসের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ জয়দেব সরকারকে গ্রেফতার করে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নিহত স্কুল ছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জয়দেব সরকার ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করায় তাকে আদালতের মাধ্যমে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি করানো হবে।