ডাক্তার সেজে রীতিমতো রোগী দেখে ভালোই অর্থ আয় করতেন। অবশেষে ধরা খেয়ে কারাগারে গেলেন ভুয়া দাঁতের চিকিৎসক। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার দায়ে মো. শহিদুল ইসলাম ইয়াদ নামে একজন ভুয়া ডাক্তারকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নড়াইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিক রহমান এ আদেশ দেন। এ সময় অপর একটি চেম্বার সিলগালা করেন তিনি।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো. শহিদুল ইসলাম ইয়াদের বাড়ি লোহাগড়ায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া বাজারের মজুমদার কমপ্লেক্সে সিটি ডেন্টাল নামে চেম্বার খুলে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন মো. শহিদুল ইসলাম ইয়াদ। রোববার বিকেলে ওই চেম্বারে অভিযান চালান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিক রহমান। এ সময় মেডিকেল ও ডেন্টাল আইনের অধীনে ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করায় শহিদুল ইসলাম ইয়াদকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া মজুমদার কমপ্লেক্সের অপর ভুয়া ডাক্তার লিয়াকত আলী পালিয়ে গেলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার চেম্বার সিলগালা করে দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে লোহাগড়া বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গেছে।