বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফল ওয়ানডে অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মতুর্জা বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সব সময় আপনাদের সাথে রয়েছেন এবং তার প্রতিনিধি হিসাবে আমিও আপনাদের পাশে থাকব। আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের ইতিহাস জানতে হবে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) লোহাগড়া উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে নিজ নির্বাচনী এলাকা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধুমতি নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। লোহাগড়া উপজেলার নদী ভাঙন কবলিত কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা এবং জয়পুর ইউনিয়নের বিলটিয়ার বিভিন্ন গ্রামের ভাঙনকবলিত মানুষের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদেরকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এ সময় মাশরাফির উপস্থিতি টের পেয়ে শত শত সাধারণ মানুষ তাকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসেন। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা মাশরাফির সাথে সেলফি তোলেন।
যোগিয়া এলাকার বাসিন্দারা এ সময় সংসদ সদস্যর নিকট একটি সড়কের দাবি জানালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সড়কটির ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ওই এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকার সমস্যার কথা জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মাহবুবুর রশীদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৌমেন চন্দ্র বসু দলীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী জনসভায় মাশরাফি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি জয়ী হতে পারলে এলাকার নদী ভাঙনরোধে কাজ করবেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি নড়াইলে আসেন।