কুড়িগ্রামে কয়েকটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও উজানের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আবারো ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এ দুই নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ১২ ঘণ্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও বাড়ি ফিরতে পারছে না বানভাসিরা। কারণ তাদের ঘর-বাড়ি থেকে এখনো পানি নেমে যায়নি। এখনো তলিয়ে আছে চিলমারী উপজেলা শহরের বিভিন্ন অফিস, ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গত দুই সপ্তাহের বন্যায় মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত নানা রোগ-ব্যাধি।
এদিকে সরকারি-বেসরকারি ত্রাণের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করেছেন দলটির যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মা. জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।