কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি দ্বিতীয় দফায় নতুন করে তলিয়ে আছে।
দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দী থাকায় এসব এলাকার বন্যা কবলিত মানুষজনের দুর্ভোগ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। চারণভূমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশুর খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় উঁচু সড়ক, বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন ঘর-বাড়িতে ফিরে যেতে পারছেন না।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার শিবের ডাংরী গ্রামে বন্যার পানিতে পড়ে দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত ১৩ শিশুসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলার বন্যা কবলিত প্রায় সাড়ে ৯ লাখ মানুষের জন্য এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে সামান্য ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা বানভাসি মানুষের জন্য অপ্রতুল।