গোপালগঞ্জে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৩দিন ব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরী এক সভায় এই কথা জানানো হয়।
বুধবার (৩১ জুলাই) ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থেকে স্কুল, কলেজ ও সরকারি-বেসরকারি সকল দফতরে নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হবে।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সিভিল সার্জন ডাঃ তরুন কুমার মন্ডল, ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ অসিত কুমার মল্লিসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গোপালগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ জন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়। গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২২ জন। এরমধ্যে সদরে ১৫ জন, মুকসুদপুরে ৪ জন এবং টুঙ্গিপাড়ায় ৩ জন।
ইতোমধ্যে, জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে জেলা শহরের সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করেছে। বাসা-বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, যথাস্থানে ময়লা ফেলার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
অপরদিকে, বেশ কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গুর প্রভাব দেখা দিলেও পৌরসভা থেকে মশা নিধনের কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ড্রেনে মশা নিধনের কোন ওষুধও ছিটানো হয়নি।
এ ব্যাপারে পৌরমেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু বলেন, 'গোপালগঞ্জ পৌরসভায় মশা নিধনের পর্যাপ্ত মেশিন নেই। যে চারটি মেশিন রয়েছে তা অকেজো। যে কারণে মশা নিধনের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে ৬টি মেশিন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঢাকা থেকে এক ট্রাক মশা মারার ওষুধও আনা হবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ তরুন কুমার মন্ডল বলেন, 'জেলার সরকারী হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণের কোন কীট ছিল না। ঢাকা থেকে ১২০টি কিট পাঠানো হচ্ছে। যা জেলার জন্য অপ্রতুল।'
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, 'ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে যাতে কোন ক্লিনিক মালিক ব্যবসা করতে না পারে সেদিকে নজর দেয়া হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি দফতরসহ বাসা-বাড়ি আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কথা বলেন।'