ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জেলা প্রশাসন থেকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টার পর থেকে জেলায় মাঝারি আকারের বৃষ্টি হচ্ছে। এরআগে শুক্রবার সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।
এদিকে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার মেঘনা উপকূলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকে নদীতে কোনো নৌকা নামেনি। জেলেরা সবাই নিরাপদ স্থানে রয়েছে। কিন্তু উপকূলীয় এলাকার কেউই সাইক্লোন শেল্টারে উঠছে না। সব মিলেয়ে উপকূলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
তবে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল মোমিন জানান, উপজেলার ৪৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে ২৭টি খুলে দেওয়া হয়েছে। জেলেরাসহ উপকূলীয় এলাকার জনগণকে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ইতোমধ্যে অনেকেই সাইক্লোন শেল্টারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ১ হাজার ৫১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করেছেন। এতে উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ সকল কর্মকর্তাদের সর্তক থেকে এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কমলনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর নিজে মাইকিং করে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সাইক্লোন শেল্টারসহ নিরাপদস্থানে সরে যেতে বলেছেন। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলার ৫০টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সময়ে যে কোনো প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। এতে যোগাযোগের জন্য ০৩৮১৬২৪৮৩ ও ০১৭১১৯০৫৯৯৪ ফোন নম্বরগুলো চালু রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।