নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে ও শহরের বিভিন্নস্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা খণ্ডখণ্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হয়। বেলা ১১টার দিকে একটি মিছিল আসলে পুলিশ এতে বাধা দেয়। মুহূর্তেই পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিএনপির ডাকা নির্ধারিত সভাটি পণ্ড হয়ে যায়।
পরে দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের মাইজীদের বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় তারা বলেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে তাদের মিছিলে বাধা দেয় এবং নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে তাদের ১৫ থেকে ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্যাহ্ আল নোমান, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন ও সাধারণ সম্পদাক নুরুল আমিন খানসহ অনেকে।
এ বিষয়ে সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল বাতেন জানান, সমাবেশ করার কোনো অনুমতি ছিল না বিএনপির। তারপরও তারা সমাবেশ করছিল। কিন্তু হঠাৎ মিছিল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে, পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে মাত্র।’