যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের পোলতাডাঙ্গা মাঠে নতুন জাতের পিংক ক্যাবেজ (বেগুনি বাঁধাকপি) চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক আমিন আলী। খেতে সুস্বাদু সবজিটি চাষ করে এলাকায় জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তার সফলতা দেখে আগ্রহী হয়েছেন আরও ১০-১২ জন কৃষক।
চলতি বছর ভারতের কলকাতা থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে এক প্যাকেট পিংক ক্যাবেজ সবজির বীজ নিয়ে আসেন আমিন আলী। দেশীয় বাঁধাকপির সঙ্গে কয়েকটি পিংক ক্যাবেজ সবজির বীজ রোপণ করে কয়েক মাস পরেই ফলন দেখতে পান। দেশীয় বাঁধাকপির পাতার মতো সবুজ হলেও সবজির রঙ বেগুনি।
আমিন আলী বার্তা২৪.কম-কে জানান, এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো দুই বিঘা জমিতে পিংক ক্যাবেজ চাষ করেছেন তিনি। জমিতে উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। এরইমধ্যে ৪৫ হাজার টাকার পিংক ক্যাবেজ বিক্রি করা হয়েছে। জমিতে থাকা বাকি ক্যাবেজ বিক্রি করতে পারলে আরও দেড় লাখ টাকা আয় হবে তার।
তিনি আরও জানান, ২৫ টাকা দরে যশোরসহ আশেপাশের ব্যবসায়ীরা পাইকারি মূল্যে ক্ষেত থেকে এই সবজি নিয়মিত নিয়ে যাচ্ছেন। পিংক ক্যাবেজ চাষ করে তার মতো অনেক চাষি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, নতুন জাতের পিংক ক্যাবেজ এই এলাকায় ৪ হেক্টর জমিতে প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে। তবে গত মৌসুমে আমিন আলী পরীক্ষামূলক উৎপাদন করে অনেক চাষির নজর কেড়েছিলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর তাদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে। আগামীতে চাষের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘যশোরের আট উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি চাষ হয়েছে। তবে জেলায় নতুনভাবে পিংক ক্যাবেজ চাষ শুরু হয়েছে। সাধারণ বাঁধাকপির চেয়ে এই সবজিতে বেশি দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। আবার ওজনেও বেশি। এছাড়া এই সবজিতে প্রচুর ভিটামিন, ক্যানসার প্রতিরোধ ক্ষমতা, প্রচুর পরিমাণ খনিজ, অ্যান্টি অক্সিজেন, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ, ত্বক সুন্দর রাখে।