৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি)। ধর্মীয় এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টঙ্গীমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। এ কারণে যানবাহনের বাড়তি চাপে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ইজতেমায় আগত মুসল্লিসহ অফিসগামী যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার পর থেকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকা থেকে ধউর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা রবিন পরিবহনের বিশ্ব ইজতেমাগামী যাত্রী রশিদ বলেন, ইজতেমা আগামীকাল থেকে শুরু হবে। শেষ পর্যন্ত শরিক হতে চাই, তাই একদিন আগেই বের হয়েছি। তীব্র যানজটের কারণে কষ্ট হচ্ছে ঠিক কিন্তু ময়দানে পৌঁছে গেলে সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে।
টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে চলাচলকারী সিয়াম পরিবহনের চালক আনিছ বলেন, এই সড়কে আমরা প্রতিদিন যাতায়াত করি। যানজটে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি, এখন আর কিছু মনে হয় না। কিন্তু যাত্রীরা বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন। পাঁচ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে ১ ঘণ্টাও লেগে যাচ্ছে।
ইপিজেড সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারী এমরান বলেন, তীব্র যানজটে যে পাশ দিয়ে ফাঁকা পাচ্ছে সে পাশেই যে কোন গাড়ি ঢুকে পড়ছে। এখন হেঁটে যাওয়ার রাস্তাও নেই।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মশিউর রহমান বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে গাড়ির চাপ বেড়েছে। বাইরের কোন গাড়ি নেই, সব ইজতেমার মুসল্লিবাহী গাড়ি। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি যানজট নিরসনের জন্য।
প্রসঙ্গত, তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের মধ্যে মতভেদের কারণে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ তীরে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। চলবে ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি। এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।