যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০২০ সালে আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এক লাখ ৬১ হাজার ৬ শ’ ৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। যেখানে ২০১৯ সালে অংশ নিয়েছিলো এক লাখ ৮৪ হাজার দুই শ’৯০ জন। এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে বিশ হাজার।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুন্দ্র বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে, তিন ফ্রেুবুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে এক লাখ ৬১ হাজার ছয় শ’ ৯৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৮১ হাজার ২৫ জন ও ছাত্র ৮০ হাজার ছয় শ’ ৭০ জন।
গত বছর অংশ নিয়েছিলো ছাত্র ৯২ হাজার ৮২ জন এবং ছাত্রী ৯২ হাজার দুই শ’ আট জন। এ ছাড়া মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনিয়মিত ২৪ হাজার এক শ’ ৬৬। এর মধ্যে ছাত্র ১৪ হাজার আট শ’ ৬৪ ও ছাত্রী নয় হাজার তিন শ’ দুই জন। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় প্রায় দুই হাজার পাঁচ শ’ ২১ টি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী দুই শ’ ৮৬ টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীরদের সুযোগ-সুবিধা ও প্রশ্নফাঁস-দুর্নীতি রোধ করতে ১০টি কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে।
এর মধ্যে খুলনা জেলায় ৫৬টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ২৪ হাজার চার শ’ ৬০ পরীক্ষার্থী, বাগেরহাট জেলায় ২৬টি কেন্দ্রে ১৩ হাজার আট শ’ ৮৭ পরীক্ষার্থী, সাতক্ষীরা জেলায় ২৫টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ১৮ হাজার এক শ’ ৯ পরীক্ষার্থী, কুষ্টিয়া জেলায় ২৮টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ২২ হাজার এক শ’ ১০ পরীক্ষার্থী, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৬টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ১০ হাজার চার শ’ ৫০ পরীক্ষার্থী, মেহেরপুর জেলায় ১১টি কেন্দ্রে অংশ নেবে সাত হাজার আট শ’ ৭১ পরীক্ষার্থী, যশোর জেলায় ৪৮ টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ২৭ হাজার আট শ’ ৪৪ পরীক্ষার্থী, ঝিনাইদহ জেলায় ৩৫টি কেন্দ্রে অংশ নেবে ১৮ হাজার এক শ’৪৯ পরীক্ষার্থী ও মাগুরা জেলায় ১৬ টি কেন্দ্রে অংশ নেবে নয় হাজার নয় শ’ ৪৭ পরীক্ষার্থী।
এ সকল কেন্দ্রগুলো ও পরীক্ষার্থীর জন্য প্রায় তিন শতাধিক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের নিয়ে চলতি মাসের গত ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি দুইদিন ব্যাপী মতবিনিময় সভা করা হয়। এছাড়া বোর্ড কর্তৃক ১০টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিটি জেলায় সুষ্ঠু পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে পর্যলোচনা করবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুন্দ্র বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রশ্নফাঁস রোধ ও নকলমুক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোই এবারে কেন্দ্র বাছাই করে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বাদ দিয়ে নতুন করে তালিকা হয়েছে। প্রায় দেড় মাসব্যাপী এই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধ ও সুষ্ঠু পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে বোর্ড। সকল পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিটি আগে পরীক্ষা কেন্দ্র’র রুমে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর জন্য একজন শ্রুতি লেখক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শ্রুতি লেখকটি অবশ্যই নবম শ্রেণির নিচে হতে হবে। অন্যবারের ন্যায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সেটের প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি উপজেলায় পরীক্ষার তিন সেট প্রশ্ন পত্র ট্রেজারিতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের নবাগত চেয়ারম্যান প্রফেসর মোল্লা আমীর হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কোনো পরীক্ষার্থী দেরি করে কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাদের জন্য আলাদা রেজিস্টার খাতায় স্বাক্ষর ও কারণের ব্যাখ্যা লিখে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সচিবদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার হলে কেন্দ্রসচিব বাদে কেউ প্রশ্নপত্র খোলা ও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। অন্য কারো কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।