আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় যশোরে বেড়ে গেছে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ। গত চার দিনে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে শতাধিক ডায়রিয়া রোগী। ডায়রিয়ার ৫ শয্যার বেডে ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন। হঠাৎ ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় তা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শতাধিক ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। তার মধ্যে ৫৪ জন শিশু। এছাড়া বর্হিবিভাগ থেকে দুই শতাধিক ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মাত্র ৫টি বেড রয়েছে। এ কারণে বাড়তি রোগীদের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে।
হাসপাতালে ভর্তি শিশু তামিম হোসেনের মা খাদিজা বেগম জানান, গত দুই দিন আগে সন্তানের ঘন ঘন পাতলা পায়খানা শুরু হয়। স্যালাইন খাওয়ানোর পরও কোনো কাজে আসেনি। অবশেষে হাসপাতালে ছুটে আসি।
ঝিকরগাছা উপজেলার নারাঙ্গালি গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গতকাল থেকে মেয়েটাকে বমি ও পাতলা পায়খানা করতে দেখা যায়। স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাজ না হওয়াতে শনিবার রাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর এতটাই চাপ জায়গা না হওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছি।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ নাসরিন সুলতানা জানান, হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশু ওয়ার্ডে বেডে জায়গা না হওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এক বেডের জায়গায় ২-৩ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা দিলীপ কুমার রায় বার্তা২৪.কমকে জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়াজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ ও খাবার স্যালাইন রয়েছে। এছাড়া বেডের স্বল্পতা থাকায় সবাইকে বেড দিতে পারছি না।