মীর মশাররফ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

, শিল্প-সাহিত্য

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 09:48:18

কালজয়ী উপন্যাস 'বিষাদ সিন্ধু'র রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১১০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রবিবার। ১৯১১ সালের এই দিনে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার পদমদী গ্রামে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই গ্রামেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে পদমদীতে।

মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ। মীর মশাররফ ইতিহাসকে তার শিল্প কুশলতার মাধ্যমে নবরূপদানে সক্ষম হয়েছেন। তিনি উপন্যাস রচনার মধ্য দিয়ে ভাষা-বৈশিষ্ট্যের সর্বাধিক সিদ্ধি ও সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন। 

রাজবাড়ীর পদমদীতে নির্মিত মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা শেখ ফয়সাল আমিন জানান, মীর মশাররফ হোসেনের মৃত্যুদিবসে বাংলা একাডেমি, উপজেলা প্রশাসন, মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদ, মীর মশাররফ হোসেন কলেজসহ বিভিন্ন সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠন পদমদীতে তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ ছাড়া মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির পদমদীতে অতিবাহিত করেন। তার পিতার নাম মীর মোয়াজ্জেম হোসেন এবং মাতার নাম দৌলতন নেছা।

মীর মশাররফ হোসেনের স্কুল জীবন কেটেছে প্রথমে কুষ্টিয়ায়, পরে পদমদী এবং শেষে কৃষ্ণনগর শহরে। জগমোহন নন্দীর পাঠশালা, কুমারখালির ইংলিশ স্কুল, পদমদী নবাব স্কুল ও কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল এ পড়ার কথা লেখকের আত্মজীবনীতে লেখা আছে।

কর্মজীবনের শুরুতে মশাররফ হোসেন পিতার জমিদারি দেখাশুনা করেন। পরে তিনি ফরিদপুর নবাব এস্টেটে চাকরি নেন এবং ১৮৮৫ সালে দেলদুয়ার এস্টেটের ব্যবস্থাপক হন। এক সময় এ চাকরি ছেড়ে তিনি লাহিনীপাড়ায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং পরে ভাগ্যান্বেষণে কলকাতায় গিয়ে ১৯০৩-০৯ পর্যন্ত অবস্থান করেন।

গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্মবিষয়ক ৩৭টি বই রচনা করেছেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছেন তিনি। মীর মশাররফ হোসেনের কীর্তির মধ্যে বসন্ত কুমারী, জমিদার দর্পণ, মদিনার গৌরব, বিষাদ সিন্ধু, বেহুলা গীতাভিনয়, গাজী মিয়ার বস্তানী, মোসলেম বীরত্ব ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর