(প্রথম পর্ব)
কিংবদন্তি সাংবাদিক, সম্পাদক ও রাজনীতিক আবুল মনসুর আহমদের সাংবাদিকতার শতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে ২০২৩-এ। ঐতিহাসিক গুরুত্বের সঙ্গে সমকালীন সাংবাদিকতার জন্যও তিনি কম প্রাসঙ্গিক নন।
কর্মগুণে ও সৃজননৈপুণ্যে তৎকালেই তিনি আবুল মনসুর আহমদ হয়ে ওঠেছিলেন একমেবাদ্বিতীয়ম। একবিংশ শতাব্দির এই দুই এর দশকে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকতার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত বিবেচনায় তাঁর পরিধিবহুল জীবন ও কর্ম থেকে আজকের সাংবাদিকদেরও নেওয়ার মতো রয়েছে অনন্য সব নির্দেশনা। একনিষ্ঠতা, কর্মোদ্যোগ, প্রেম ও সাধনায় তিনি যুগপ্রবর্তক সাংবাদিক ও সম্পাদকের আসনে সমাসীন হন।
তিনি সংবাদপত্র শিল্পকে ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিকভাবে দাঁড় করিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। যা থেকে একজন সংবাদপত্র মালিকের, একজন সাংবাদিক-সম্পাদকের, একজন অধ্যাপকের, একজন তাত্ত্বিক-গবেষক ‘বই লিখিয়ে’ কিংবা লেখক-দার্শনিক-যুক্তিবাদীর নেওয়ার রয়েছে অমূল্য সব অভিজ্ঞতা ও উপাদান।
সাংবাদিক ও সম্পাদক আবুল মনসুর আহমদের হাত ধরেই শুরু হয় সংবাদপত্রের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ হয়ে ওঠার প্রবণতা বা সংস্কৃতি। সংবাদপত্রকে টেকসই প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল রূপ-রূপান্তর ও বাস্তবায়নে যারা অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তিনি ছিলেন সেসকল মেধাবী সাংবাদিক-সম্পাদকদের অন্যতম।
সদর্থক অর্থেই সংবাদপত্রকে বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব ও কর্মপ্রতিভা দিয়ে ‘ইন্ডাস্ট্রি’তে পরিগণিত করেন। বিশেষ করে বাঙালি মুসলমানের প্রযত্ন ও নেতৃত্বে তিনি পালন করেছেন একজন যোগ্য ও দায়িত্বশীল অভিভাবকের ভূমিকা। তাঁর নেতৃত্বে বৃহদায়তনে সংবাদপত্র সমৃদ্ধ হয়েছে বহুভাবে। যেমন ইংরেজি পত্রিকা ‘দি মুসলমান’, পাশাপাশি বাংলা সংবাদপত্রের বিকাশে যুক্ত করেছেন নতুন মাত্রা, ‘কৃষক’ ও ‘নবযুগ’। বাঙালি মুসলমানের সংবাদপত্র সৃজন ও সংলগ্নতা পেয়েছে ইতিহাস নির্মাণের সুযোগ, যেমন ‘ইত্তেহাদ’।
তখনকার শ্রেষ্ঠ সাপ্তাহিক খবরের কাগজ ‘বঙ্গবাসী’তে একবার এমন খবরও লেখা হয়েছিল, ‘সভায় কতিপয় ভদ্রলোক ও অনেক মুসলমান যোগ দিয়েছিলেন।’ আবুল মনসুর আহমদ এর প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। উনি কখনোই সাম্প্রদায়িক ছিলেন না। কিন্তু সমাজ-রাষ্ট্রের প্রতিটি বর্গে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায়, মর্যাদা রক্ষায় ও সাম্য অনুশীলনের পদক্ষেপে শিরদাঁড়া সোজা রাখায় ছিলেন বিশ্বাসী। তিনি মনে করতেন, সকলকে সমঅধিকার দেওয়ার মধ্যে রয়েছে মানবিকবোধের প্রকাশ।
সাংবাদিকতায় তাঁর পর্যবেক্ষণ ও প্রত্যাশা ছিল হিন্দুরা তো এক্ষেত্রে সামনের সারিতে রয়েছেন, এখন সকলের দায়িত্ব মুসলমানদেরও এগিয়ে নেওয়া। দেশের কোনো একটা ক্ষেত্রে একক কোনো বর্গ, গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় যদি এগিয়ে যায় তাহলে সেখানে যে ‘সমতা’র চর্চা হয় না, সেকথা বলাবাহুল্য। এ লক্ষ্যেই তিনি চেয়েছেন সাংবাদিকতায় বাঙালি মুসলমানও এগিয়ে আসুক। অন্যদের সমান্তরালে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করে নিক। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘হিন্দু সংবাদপত্রে মুসলিম শিক্ষার্থীদের চান্স ছিল না।’ তার প্রযত্নে অনেক সাংবাদিকই পরবর্তী সময়ে সাংবাদিক হিসেবে খ্যাত হয়েছেন, সংবাদপত্র শিল্পে গৌরবজনক অবদান রেখেছেন।
এঁদের কয়েকজন হলেন (‘আত্মকথা’য় যেভাবে লিখেছেন) : মি. ওয়ালী উল্লাহ, মি. মোহাম্মদ মোদাব্বের, মি. জনাব আলী, মি. খোন্দকার ইলিয়াস, মি. কে. জি. মোস্তফা, মি. সিরাজুদ্দীন হোসেন, মি. রশীদ করীম, মিস হাযেরা খাতুন, মিস মরিয়ম খানম, কবি আহসান হাবীব, মি. রুকনুযযামান খান, মি. মোহাম্মদ নাসির আলী, মি. কাযী মোহাম্মদ ইদ্রিস, মি. তালেবুর রহমান, মি. খোন্দকার আবদুল হামিদ, মি. জহুরুল হক, কবি গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ। এ তালিকা অনেক দীর্ঘ। নক্ষত্রপ্রতীম এসকল নামের তালিকাসূত্রে আবুল মনসুর আহমদকে বাঙালি মুসলিম সাংবাদিকতার দ্রোণাচার্য বলাই শ্রেয় ও যুক্তিযুক্ত। প্রকৃতার্থেই তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তিতুল্য সাংবাদিক-সম্পাদক। তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের শতবর্ষ একারণেই বিশেষ স্মরণের দাবি রাখে।
তিনি ব্রিটিশ শাসনের শেষ কয়েক দশকের একজন প্রত্যক্ষদর্শী। পেশাগত কারণে সেই সময়ের প্রায় পুরোটা কাটিয়েছেন শহর কলকাতায়। যে শহর তখন অবিভক্ত ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানীর গৌরব হারালেও যুক্ত বঙ্গের প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে ছিল সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু। এখানেই আবুল মনসুর আহমদের সাংবাদিকতার শুরু। সক্রিয় ও পেশাদার সাংবাদিকতার দাঁড়িও পড়ে এখানে। শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছেন ময়মনসিংহে। শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় আই.এ. এবং বি.এ. পর্বে থেকেছেন ঢাকায়।
আবুল মনসুর আহমদের আট দশকের জীবন-রেখার তারুণ্যদীপ্ত ও সাংবাদিকতার কর্মমুখর অধ্যায়ের সাক্ষী কলকাতা। এই কলকাতাতেই ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে প্রতিষ্ঠা পায় হিন্দু কলেজ। যার মধ্য দিয়ে ইতালীয়-ইউরোপীয় নবজাগরণের মতো অসাধারণ এক নবজাগরণ ঘটে। যা সর্বজনে ‘বাংলার রেনেসাঁ’ হিসেবে পরিচিত। এর ভিত্তিভূমি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তাঁদের অন্যতম হলেন : ডেভিড ড্রামন্ড, হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও, রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অক্ষয়কুমার দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, রামতনু লাহিড়ি, শিবনাথ শাস্ত্রী, কেশবচন্দ্র সেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ। ঊনবিংশ শতকের নবজাগরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে সংবাদপত্র। ‘ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালির নবজাগরণ ইতিহাস মুখ্যত বাংলা সংবাদপত্রেরই ইতিহাস।’
বেদনার বিষয় হল, বেঙ্গলি রেনেসাঁয় পূর্ববঙ্গকে উপেক্ষা করা হয়েছে নিদারুণভাবে। পূর্ববঙ্গে প্রতিনিধিত্বমূলক কয়েকজন রেনেসাঁ পুরুষের জন্ম হলেও তাঁদের জীবন ও কর্মকে যথোচিত মূল্যায়ন করা হয়নি। কাঙাল হরিনাথ ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’র মাধ্যমে নদীয়া, পাবনা, নাটোর, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর অঞ্চলের জমিদার, নীলকর, রায়তপ্রজা, গোরাসৈন্য ও দারোগা, ম্যাজিস্ট্রেট সর্বোপরি ক্ষমতার বলয়ে থাকা শাসক-প্রশাসক ও তাদের সহযোগী ও অনুচরদের অত্যাচারের নির্মমচিত্র তুলে ধরে প্রজাসাধারণের হিতসাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। নারী শিক্ষার লক্ষ্যে কুমারখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৮৫৯ সালে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তারপরও তিনি বেঙ্গলি রেনেসাঁর অংশীজন হয়ে ওঠেননি। ঠাঁই হয়নি লালন সাঁইয়েরও। এরকম অনেক বিষয় পর্যবেক্ষণ ও বিবেচনাবোধ থেকে আবুল মনসুর আহমদ পূর্ববঙ্গ বা ঢাকাকে কলকাতার ‘হিন্টারল্যান্ড’ মনে করতেন।
বেঙ্গলি রেনেসাঁর দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতা হলো:
এক. এই রেনেসাঁ ছিল কলকাতাকেন্দ্রিক।
দুই. একে বেঙ্গলি রেনেসাঁ বলে অভিহিত করা হলেও এর সঙ্গে পূর্ববঙ্গের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, মূলত কলকাতা ও তার আশেপাশেই সীমাবদ্ধ ছিল-এর ব্যাপ্তি ও বিস্তার।
তিন. অবিভক্ত বঙ্গে প্রধানত দুই ধর্মের মানুষের সহাবস্থান থাকলেও বেঙ্গলি রেনেসাঁয় প্রতিনিধিত্ব করেছে ব্রাহ্ম ও সনাতন ধর্মের অনুসারী এবং কয়েকজন অজ্ঞেয়বাদী, এখানে বাঙালি মুসলমানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বেঙ্গলি রেনেসাঁর সীমাবদ্ধতা বা দুর্বলতার কারণে এবং ঐতিহাসিক বাস্তবতায় বিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে পূর্ববঙ্গে একটা নবজাগরণ বা রেনেসাঁ সংঘটিত হয়। যার নাম ‘বাংলাদেশের নবজাগরণ’। এই নবজাগরণ ১৯২১ থেকে ১৯৭১ অবধি সময়ে সূচনা, বিকাশ ও নির্মাণ এই তিন পর্বের মধ্যে দিয় তার মহোত্তম অভিপ্রায় সম্পন্ন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের নবজাগরণের সূচনা হয় এবং বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের মধ্যে দিয়ে তার পূর্ণতা ঘটে। বাংলাদেশের নবজাগরণের দার্শনিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় যারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন আবুল মনসুর আহমদ সেই সকল মনীষার অন্যতম। সাংবাদিকতা ও বহুমাত্রিক লেখালেখির মধ্য দিয়ে এবং পরবর্তী সময়ে সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বুদ্ধিবৃত্তিক পরিমন্ডলে রেখে গেছেন সক্রিয় ও দিক নির্দেশক ভূমিকা। তাঁর সাংবাদিকতার শতবর্ষে এসেও আলোকবিস্তারী সেসব বিষয়ে যদি আমরা অন্বেষণ ও অবলোকন না করি তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের নির্মাণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। যেকোনো জাতির গৌরবের আধার নিহিত থাকে তার অতীতে। সমৃদ্ধ অতীতই কেবল জাতির আলোকিত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে। আবুল মনসুর আহমদ এ জাতির বিকাশমান পর্বে সাংবাদিকতা ও অন্যান্য রচনাশৈলির মাধ্যমে রেখে গেছেন এক যুগন্ধর ভূমিকা। যা বাংলা ও বাঙালির জন্য অনুপম এক অতীত।
আজকের বাংলাদেশে যদি উন্নত সাংস্কৃতিক-সাহিত্যিক পরিমণ্ডল নির্মাণে, স্বাধীনতায়, গণতন্ত্র চর্চায়, অসাম্প্রদায়িক ও ন্যায্যতাভিত্তিক মহোত্তম এক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষায় উপনীত হতে চাই তা হলে আবুল মনসুর আহমদ পাঠ কেবল জরুরি নয়, অত্যাবশ্যকও বটে। তিনি কেবল জাতীয়তাবাদী নন, স্বাতন্ত্র্যবাদীও ছিলেন। যে কোনো পরাধীন জাতির জন্য জাতীয়তাবাদী হওয়া যেমন জরুরি, তেমনি স্বাধীন জাতির জন্য স্বাতন্ত্র্যবাদী হওয়াও কতটা অপরিহার্য তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছেন এবং তার যথাযথ দিকনির্দেশনাও রেখে গেছেন। আবুল মনসুর আহমদের সাংবাদিকতার শতবর্ষে সেসবের দিকে দৃষ্টি ফেরানো জরুরি। তাঁকে পাঠ এবং সাংবাদিকতা-সম্পাদকীয় দায়িত্ব পালনের বর্ণাঢ্য অধ্যায় সম্পর্কে সবিস্তারে জানা বর্তমান ও উত্তরপ্রজন্মের জন্য কেবল গুরুত্ববহই নয়, অবিকল্পও বটে। তাঁর সাংবাদিকতার শতবর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণ হতে পারে সেই বোঝাপড়া ও চর্চার বিশেষ লগ্ন।
আবুল মনসুর আহমদ ১৯২৩ সালে শুরু করেন সক্রিয় সাংবাদিকতা। প্রবেশিত হন অনেকটা নিজের চেষ্টায় এবং বন্ধু আবুল কালাম শামসুদ্দিনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতায়। নিজের চেষ্টাটা কী? দুটো প্রবন্ধ লেখেন: এক. ‘ছহি বড়ো তৈয়বনামা’ ও দুই. ‘সভ্যতার দ্বৈতশাসন’। প্রথমটি ছিল পুঁথির ভাষায় রাজনৈতিক স্যাটায়ার। দ্বিতীয়টি হলো দীর্ঘ দার্শনিক রাজনৈতিক প্রবন্ধ। যা সক্ষম হয় মুসলিম সাংবাদিকদের বিশেষভাবে নজর কাড়তে।
আবুল মনসুর আহমদের সাংবাদিকতা জীবনের প্রথম পত্রিকা ‘ছোলতান’। পদ সহ-সম্পাদক। বেতন ত্রিশ টাকা। কর্তৃপক্ষ কাজে সন্তুষ্ট হয়ে কিছুদিনের মধ্যে দশ টাকা বাড়িয়ে করেন চল্লিশ টাকা। ছোলতানে চাকরি করার সময়ই মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁর সঙ্গে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা। তিনি মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর কাছে আবুল মনসুর আহমদকে ‘চাহিয়া নেন’। কারণ তাঁর লেখার বিষয়বস্তু ও ওজস্বিতা তাকে মুগ্ধ করে।
‘ছোলতান’-এ দেড় বছরের চাকরি জীবন শেষ করে যোগ দেন ‘মোহাম্মদী’তে। পদ সহ-সম্পাদক। বেতন পঞ্চাশ টাকা। এখানে সহকর্মী হিসেবে পান ফজলুল হক সেলবর্ষী ও মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীকে। সাক্কূল্যে স্টাফ ছিলেন দুই সিনিয়রসহ তিনজন। সিনিয়ররা জুনিয়রদের কাজ চাপিয়ে দেবেন, সুযোগ পেলে সব কাজই করাবেন এটাই সংবাদপত্রের প্রচলিত রীতি; যা শতবর্ষ আগেও ছিল, এখনও আছে। কিন্তু এটাকেই আশীর্বাদ জ্ঞান করেছিলেন আবুল মনসুর আহমদ। তাঁর ছিল ‘‘বড়ো বোঝা’ বহিবার জন্য কাঁধ পাতিয়া দেয়ার অভ্যাস।’’ (চলবে…)
লেখক: সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও গবেষক, kazal123rashid@gmail.com