আনিস স্যার শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন, উনার আত্মার শান্তি কামনা করি। শেষ পর্যন্ত বললাম এজন্য, উড়ুক্কু’র আগ থেকেই বাংলাবাজার পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক থাকাকালীন উনার সাথে যোগাযোগের পর থেকেই উনাকে আমার মাথার বৃক্ষের ছায়া হিসেবে পেয়েছি। সেই অর্থে অপরিচিত আমি যখনই উনার লেখা চেয়েছি, পেয়েছি।
এরপর থেকেই নানাভাবে প্রায় নিয়মিত যোগাযোগে উনার স্নেহ, বন্ধুতাও পেয়েছি। অন্যদিনের সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আর উনার এক সময়ের তুখোড় প্রিয় ছাত্র (পরে যে আমারও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়) কবি মারুফুল ইসলামের সোর্সে আমাদের বাসায়, উনার বাসায়, মারুফ, মাজহার ভাইদের মাধ্যমে কতবার যে কত আড্ডায় উনার আন্তরিক সান্নিধ্য পেয়েছি। সব বয়সী মানুষের সাথে তাঁর বন্ধুত্বের আন্তরিকতায় মেশার মতো সীমাহীন আধুনিক, আন্তরিক ক্ষমতা ছিল।
এর অনেক আগে দু’বার উনার মৃত্যুর গুজব উঠেছিল।
কম্পিত হাতে বুকে ভয়, কষ্ট নিয়ে ফোন করে উনার কণ্ঠ শুনে আমি হাউমাউ করে কেঁদে উঠেছিলাম, আপনি বেঁচে আছেন? উনার সেকি হাসি!
দ্বিতীয়বারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি! উনি হাসতে হাসতে বললেন, কান্না থামাও, আমি আছি, এসবে আমার আয়ু বাড়ছে, অত সহজে যাচ্ছি না, তবে খুব ভালো লাগছে আমি চলে গেলে তোমার যে প্রতিক্রিয়া শুনতে পারলাম, চলে গেলে তো পারতাম না।
কত ছবি আছে উনার সাথে। মোবাইলের আগের অনেক ছবি ডিলিট হয়ে গেছে। এখন এলবাম ঘাঁটতে ইচ্ছে করছে না। চলে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি কার কোন প্রোগ্রামডাকে সাড়া না দিয়েছেন!!!
আমাদের সাহিত্যজগৎ এইবার পুরোপুরি বিশাল ছায়া বিস্তার করা মানুষ, অভিভাবক, সাহিত্যিককে হারিয়ে সম্পূর্ণ ছায়াহীন হয়ে গেল।
স্যার, যেখানেই গেছেন, এখন আপনার আত্মাকে বৃক্ষের চাইতে অনেক অনেক সীমাহীন ছায়া, আপনার আত্মাকে তুমুল ছায়ায় আচ্ছন্ন করে রাখুক।
আবারও স্যার, আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।