কাঁদো বাংলার মানুষ কাঁদো/যদি বাঙালি হও নিঃশব্দে কাছে এসো, আরো কাছে/এখানেই শুয়ে আছেন অনন্ত আলোয় নক্ষত্র লোক। বাঙালির হৃদয় স্পন্দন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মৌমাছির গুঞ্জন পাখির কল-কাকলিতে করুণ সুর বাজে/গভীর অরণ্য পুস্পের সুগন্ধে/অনেক রক্তের মূল্য পাওয়া এ স্বাধীনতা/এখানে ঘুমিয়ে আছে, এইখানে দাঁড়াও শ্রদ্ধায়, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অকুতোভয় এবং জীবন বাজি রাখা নেতৃত্বে এ জাতি তার হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা সূর্যকে ছিনিয়ে আনে। পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসম্পর্নের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাঙালি জাতি নিজেকে বিশ্বের কাছে বীরের জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়।
১৯৭৫ সালে স্বাধীন সোনার বাংলার পরম ধন পরশ মানিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্ব-পরিবারে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে জাতির ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের অমানিসা নেমে আসে। স্বাধীনতা অর্জনের পরতে পরতে আত্মত্যাগ, আত্মউৎসর্গ আর মহামূল্যবান রক্তের ছোপ ছোপ দাগ আজও স্পষ্ট। ইতিহাসে হয়তো অনেক বিজয়ের কাহিনী লেখা আছে। কিন্তু বিজয়ের সে সব কাহিনী রক্তের শ্রোত ধারায় মিশেছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক বাড়িটিতে।
স্বাধীনতার স্থপতির বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল স্বাধীন শ্যামল বাংলার মাটি। আকাশ ছোয়া জনপ্রিয় স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনকের সঙ্গে ছিল ফটো সাংবাদিকদের গভীর হৃদ্যতা। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যে সকল ফটোসাংবাদিক মাঠে ময়দানে কাজ করতেন তাদের সকলকেই জাতির জনক নাম ধরে চিনতেন। জাতির জনকের বাড়ির দরজা ছিল সকল ফটো সাংবাদিকের জন্য উন্মুক্ত। নির্ভয়ে নিরাপত্তার করিডোর পেরিয়ে অবাধ যাতায়াত ছিল তাদের। বিভিন্ন সময় তিনি ফটো সাংবাদিকদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা ও মনের ভাব প্রকাশ করতেন। কখনো বুঝতে দিতেন না তিনি একজন জাতির জনক ও রাষ্ট্র নায়ক। আকাশের মতো বিশাল ও সমুদ্রের মতো গভীর হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন। প্রয়াত ফটোসাংবাদিক জহির ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতে জাতির জনক তার কানে মলা দিয়ে ঠাট্টা করছিলেন, এই দৃশ্য পৃথিবীতে আজ বিরল। এমন অনেক ঘটনাই বিভিন্নভাবে ইত্তেফাকের ডার্করুমে আড্ডাচ্ছলে উঠে আসতো। সবার জুনিয়র হিসেবে তখন শুনে যেতাম। আজ সময় এসেছে সেগুলে নিয়ে দু-চার কথা লেখার। যা নিজ কানে শুনেছি। তেমন কয়েকটি ঘটনার একটি হলো- প্রয়াত ফটোসাংবাদিক রশিদ তালুকদারের ছোট ভাই চুন্নুকে নিয়ে।
একবার গ্রাম থেকে ঢাকায় আসলেন জাতির জনককে সরাসরি দেখবেন বলে। রশিদ তালুকদার সময় বুঝে তার ছোট ভাই চুন্নুকে একদিন ৩২ নম্বর রোডের ধানমন্ডির বাড়িতে নিয়ে জাতির জনকের সঙ্গে দেখা করালেন। জাতির জনক তার চিরায়ত আঞ্চলিকতার মধুমিশ্রিত ভাষায় রশিদ তালুকদারকে বললেন- রশিদ টুংগীপাড়ার বাড়ি থেকে বড় বড় কইমাছ আনছি, সেই মাছ আজ বাসায় রান্না হইছে। তুই তোর ছোট ভাইকে নিয়ে খেয়ে যাবি।
তখনকার দৈনিক ইত্তেফাকের চার তলায় ডার্করুমে বসা দেশসেরা তিন ফটোসাংবাদিক রশিদ তালুকদার, আফতাব আহমদ ও মোহাম্মদ আলম। রশিদ ভাইয়ের তোলা ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, আলম ভাইয়ের তোলা ২৫ মার্চের নির্মম হত্যাকাণ্ড, আফতাব ভাইয়ের তোলা ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্থানী বাহিনীর আত্মসমর্পণ। এই নিয়ে কথা উঠলো। তখন রশিদ ভাই, আলম ভাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন- আলম তুই তো জাতির জনকের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার ছিলি আমার একটি স্মরনীয় অভিজ্ঞতার কথা শোন। আমার যতটুকু মনে পরে ৭২ বা ৭৩ সালে কোন একদিন দুপুরের একটু পড়ে আমি জাতির জনকের ধানমন্ডির বাড়িতে গেলাম। দো’তলায় জাতির জনক ওনার রুম থেকে আমাকে দেখে বলেন- এই রশিদ কী খবর, কী মনে কইরা তুই এই সময়ে আমার এখানে? রশিদ ভাই উত্তর দেয়- আপনাকে দেখতে আসছি। জাতির জনক রুম থেকে বাহিরে এসে রশিদ ভাইয়ের কাঁধে হাত দিয়ে বাড়ির রান্না ঘরের ভিতরে নিয়ে নিজে বিভিন্ন হাড়ির ঢাকনা তুলে দেখতে লাগলেন হাড়ির ভিতরে কি কি খাবার আছে। রশিদ ভাই বলেন- আমি দুপুরের খাবার খেয়ে এসেছি। জাতির জনক বলেন- রশিদ তুই আমার সাথে মিথ্যা কথা বলবি না। তোর মুখ শুকনা শুকনা লাগছে তুই দুপুরে না খেয়ে আমার বাড়িতে আসছোস। যা কিছু আছে তাই দিয়ে খেয়ে নে। রশিদ তালুকদার সেইদিন আপসোস করে বলেছিলেন- এমন মহান নেতা পৃথিবীতে আর এখনো আসবে না।
প্রয়াত ফটোসাংবাদিক আমার শিক্ষাগুরু মোহাম্মদ আলম যার হাত ধরে আমার এই পেশায় আসা তিনি ছিলেন জাতির জনকের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার, তার সাথে ছিল জাতির জনকের বহুস্মৃতি। একবার মধ্যেপ্রাচ্য সফরের সময় আলম ভাইকে জাতির জনক ওনার রুমে ভোর সকালে ডাকলেন- আলম বাংলাদেশে আমার ঘুম ভাঙে পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে। আজ মধ্যে প্রাচ্যের এই হোটেল রুমে ঘুম ভাঙলো এয়ার কন্ডিশনের আওয়াজে। বাংলাদেশের মতো শান্তির ঘুম বিদেশের মাটিতে হয় না রে আলম। একজন মাটি ও মানুষের নেতা না হলে এমন সরল কথাগুলো একজন ফটো সাংবাদিকের সঙ্গে প্রকাশ করতে না।
জাতির জনক একবার স্পিডবোটে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছিলেন। ভিন্ন একটি বোট থেকে আলম ভাই লক্ষ্য করলেন জাতির জনক নিজেই স্পিডবোট চালাচ্ছেন। এই দৃশ্য দেখে তখন আলম ভাই তার স্পিডবোটের ড্রাইভারকে সরিয়ে নিজে স্পিডবোট স্টিয়ারিং ধরলেন। একপর্যায়ে জাতির জনকের স্পিডবোটটিকে অভারটেক করে সামনে এগিয়ে গেলেন। জাতির জনক ও চেষ্টা করলেন আলম ভাইয়ের স্পিডবোটকে অভারটেক করার জন্য কিন্তু সম্ভব হলো না। পরে ঘাটে এসে স্পিডবোট থেকে নেমে জাতির জনক হাসতে হাসতে বললেন- আলম আমি ড্রাইভার খারাপ না, কিন্তু আমার স্পিডবোটের হর্স পাওয়ার ছিলো না রে আলম। গণভবনে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জাতির জনক বৈঠক করছেন, ফটোসাংবাদিক আলম ভাইয়ের হাতে খবরের কাগজ দিয়ে মোড়ানো একটি প্যাকেট জাতির জনক রাখতে দিলেন। আলম ভাই সেই প্যাকেট তার জিপে রেখে দিলেন। ড্রাইভার জিপ পরিষ্কার করতে গিয়ে খবরের কাগজ দিয়ে মোড়ানো একটি প্যাকেট পেয়ে আলম ভাইয়ের হাতে দিয়ে বললেন- স্যার জিপে এই প্যাকেট পাওয়া গিয়াছে। আলম ভাই কিছুতেই মনে করতে পারছে না। এই প্যাকেট কোথা থেকে জিপে এলো? কয়েক দিন পর মনে পড়লো এই প্যাকেট তো জাতির জনক আমাকে গণভবনে বৈঠকের সময় রাখতে দিয়েছিলেন। পরে প্যাকেটটি জাতির জনকের হাতে ফিরিয়ে দিলেন। জাতির জনক আলম ভাইকে বলেন- আলম এই প্যাকেটের ভিতর কি আছে তুই জানিস? আলম ভাই না সূচক জবাব দিলেন। জাতির জনক খবরের কাগজ দিয়ে মোড়ানো প্যাকেটটি একটু ছিড়ে আলম ভাইকে দেখালেন ভিতরে কি আছে- ‘এই প্যাকেটের ভিতরে টাকা আছে, আলম তুই এই টাকা নিয়ে যা’। আলম ভাই অবাক হয়ে জাতির জনককে বললেন- স্যার এই টাকা তো পার্টির ফান্ডের টাকা, আপনি আমাকে এই টাকা দেন কেন, আমি এই টাকা নেব না। জাতির জনক হাসি দিয়ে বললেন- আলম এই কারণেই আমি তোকে এতো পছন্দ করি।
জাতির জনক একটি সেমিনারে যোগদানের জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন। সফরসঙ্গী হিসেবে অনেকের মধ্যে ছিলেন-ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমদ। প্লেন যখন মধ্য আকাশে, জাতির জনক তার সফর সঙ্গীদের এক এক করে ডেকে ওনার পাশের আসনে বসিয়ে বিভিন্ন খোঁজখবর নিতে শুরু করলেন। একপর্যায়ে ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমদকে ডেকে বসালেন।
বলেন- কিরে আফতাব তুই আমার সাথে সিঙ্গাপুরে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগদান করতে যাবি, তোর গায়ে এমন সাধারণ জামা কেন? তোর কি কোন কোট নাই? আফতাব আহমদ সরল-সত্য উত্তর দেন- মুজিব ভাই আমার কোন কোট নাই। তাই আমি এই সাধারণ পোশাক পরে আপনার সফরসঙ্গী হয়েছি। জাতির জনক সঙ্গে সঙ্গে তার পকেট থেকে টাকা বের করে আফতাব আহমদকে দিয়ে বললেন- ‘এই নে টাকা। তুই এই টাকা দিয়ে তোর জন্য একটি কোট তৈরি করবি। সেই কোট তুই গায়ে দিয়ে আমার সাথে আবার অন্য কোন সফরে যাবি।’
জীবন্ত কিংবদন্তী ফটো সাংবাদিক রফিকুর রহমান ১৯৭২ সালে কোন একদিন ধানমন্ডির জাতির জনকের বাড়িতে গেলেন। দোতলায় ওনার শয়নকক্ষে উঁকি দিলেন। কক্ষের ভিতরে বসা জাতির জনক, তাকে দেখে সাথে সাথে ডেকে বলেন- এই রহমান ভিতরে আয়, এখানে বস আর কেমন আছিস, কী খবর বিভিন্ন কথা প্রসঙ্গে জাতির জনক বলেন- আমি কতো সম্পদের মালিক দেখবি? এই কথা বলে তিনি বাড়ির একজন স্টাফকে ডাকলেন। ওই ব্যক্তি কাছে এলে তিনি বলেন- আমার সমস্ত গুপ্ত ধনগুলো বাহির করো। ওই ব্যক্তি খাটের নিচ থেকে একটি বাক্স বাহির করলেন। বাক্সে খুলে জাতির জনক তার গুপ্ত ধনগুলো একে একে বাহির করা শুরু করলেন। সেই গুপ্ত ধনের মধ্যে ছিলো ১০টি তামাকের পাইপ ও মিস্টার ফিদেল কাস্ত্রোর উপহার দেওয়া দুই কার্টুন তামাক, যা দিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় পাইপে তামাক খেতেন। এই হলো জাতির জনকের সম্পদ বা গুপ্তধন।
রহমান ভাই বলেন জাতির জনক ১০টি তামাক খাবার পাইপ ওই স্টাফকে দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে তাতে তামাক ভরে একটা করে সুখ টানদেন আর বলতে থাকেন- এই পাইপটা দিয়েছেন মিসেস ইন্দিরা গান্ধী, তার পর আবার অন্য একটা পাইপে সুখটান দিয়ে বলেন এই পাইপটা দিয়েছেন মিস্টার ফিদেল কাস্ত্রো, এই পাইপটা দিয়েছেন মিস্টার মার্শাল টিটো। এইভাবে ১০টি পাইপে সুখটান দিতে দিতে কয়েক জন বিশ্ববরেণ্য রাষ্ট্র প্রধানদের উপহার দেওয়া পাইপগুলো জাতির জনক সম্পদ বলেই মনে করতেন। যাদের তিনি আপন ভাবতেন তাদেরকে বাক্স খুলে সব পাইপগুলো দেখাতেন। আর শখের সেই পাইপগুলো সাজিয়ে তাতে তামাক ভরে আয়েশ করে মনের সুখে সুখটান দিতেন।
১৯৭২ সালে কোন এক দিন জাতির জনক সকল ফটোসাংবাদিকদের সুগন্ধায় ডাকলেন। তিনি উপস্থিত সকল ফটোসাংবাদিককে বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী দিল্লিতে এশিয়ান ফেয়ারে বাংলাদেশের জন্য একটি স্টল বরাদ্দ করেছেন তাই সেখানে বাংলাদেশকে অংশ নিতে হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে কিছু নেওয়ার মতো, অথবা উপস্থাপন করার মতো কিছুই ছিলো না। জাতির জনক বলেন- আমি অনেক চিন্তা করে দেখেছি দিল্লি এশিয়ান ফেয়ারে তোমাদের তোলা গণআন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ছবিগুলো প্রদর্শনী হলে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে খুব দ্রুত পরিচিত করতে সাহায্য করবে। জাতির জনকের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু হয়ে গেল। তারপর আনন্দের সংবাদ হলো এশিয়ান ফেয়ারে বাংলাদেশের গণআন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ছবি প্রর্দশনী দেখতে বাধ ভাঙা জোয়ারের মতো উপচে পড়া বিদেশি মানুষের ভিড় লেগেই ছিল। সেই সংবাদ পৃথিবীর সব খবরের কাগজ ও টিভি চ্যালেনগুলোতে গুরুত্বসহকারে প্রচার পেলো। দিল্লি এশিয়ান ফেয়ারে প্রর্দশীত ছবিগুলির মধ্যে থেকে কয়েকটি লাইফ সাইজ ছবি জাতির জনকের স্বাক্ষরসহ বর্তমানে ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে শোভা পাচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেট আজকে প্রায় ৫ লাখ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু একটা সময় এই বাংলাদেশ বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করার মতো কিছুই ছিল না। সেই দিন জাতির জনক ফটো সাংবাদিকদের গুরু দায়িত্ব দিয়েছিলেন বিশ্বের সামনে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উপস্থাপন ও পরিচিত করতে। সেই দায়িত্ব ফটো সাংবাদিকরা অত্যন্ত আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে পালন করে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশর মুখ উজ্জ্বল করেছিলো। ফটো সাংবাদিকরা জাতির জনকের দিকে তাকাতেন ক্যামেরার চোখে। আর জাতির জনক ফটো সাংবাদিকদের দিকে তাকাতেন হৃদয়ের চোখ দিয়ে।
আজ জাতির জনক নেই, আছে তার সোনার বাংলা, রয়ে যাবে বিশ্ব মানচিত্রে অনাদিকাল। যতদিন থাকবে এই সোনার বাংলা ততোদিন থাকবে জাতির জনকের হৃদয়ের আপনজন ফটো সাংবাদিকদের ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি হওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, ২৫ মার্চের নির্মম হত্যাযজ্ঞ, ১৬ ডিসেম্বরের হানাদার বাহিনীর আত্মসর্ম্পনের দৃশ্য, বিজয়ের আনন্দ উল্লাস, আর শোকাবহ ১৫ আগস্ট স্বজন হারানো হাজারো ও স্বজনের নিঃশব্দ আর্তনাদ।