সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে: অপেক্ষার অবসান হলো। দীর্ঘ প্রতিক্ষা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাত ৮ টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজি ফুটানোর মধ্য দিয়ে সারাদেশব্যাপী মুজিব বর্ষের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৎকালিন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছিলেন এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশ দিয়ে ফুটতে থাকে নানা রঙের আতশবাজি। পুরো এলাকাটি লাল সবুজের বাতিতে আলোকিত করা হয়েছে। ঠিক রাত ৮ টায় জাতির পিতার জন্মক্ষণে শুরু হয় আতশবাজি।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান ‘মুক্তির মহানায়ক’ শুরু হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজি সরাসরি হওয়ার পর ধারণকৃত অনুষ্ঠানে যাবে। যার শুরু হবে শিশুকণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। এরপর প্রচারিত হবে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাণী। এরপরের আয়োজনের মধ্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গীত হবে মুজিববর্ষের থিম সং। যাতে দেশের প্রথিতযশা শিল্পীদের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। এ অনুষ্ঠানে পিতাকে নিয়ে শেখ রেহানার লেখা কবিতা আবৃত্তি করবেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ৪০ মিনিটের একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা রয়েছে। দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকছে যন্ত্রসঙ্গীত। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্য পরিচালক আকরাম খানের পরিচালনায় থাকছে থিয়েট্রিক্যাল পারফরমেন্স। শেষে থাকবে পিক্সেল ম্যাপিং।