জাতীয় শোক দিবসে বিডিইউ'র ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস ডেস্ক,বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 04:20:52

জাতীয় শোক দিবসে দিবসে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের শাস্তি নিশ্চিকরণ ও তাদের কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।

শনিবার (১৫ আগস্ট ২০২০) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম শিমুলের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সহকারি অধ্যাপক মোঃ আশরাফুজ্জামান, সহকারী কম্পিউটার প্রোগ্রামার ফয়সাল ইমরানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সংযুক্ত ছিলেন।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু এই দেশ ও জাতির জন্য বড় প্রাপ্তি। এই মহান নেতার সুযোগ্য নেতৃত্বগুণে বাঙালি জাতি নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। তাঁর জন্ম না হলে কখনোই এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হতো না। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন।

অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের যেসব সদস্য ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তায় কখনও আসেনি যে, বাঙালিরা ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হত্যা করতে পারে। যে বাঙালিকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছেন সেই বাঙালিরাই তাঁকে হত্যা করে। শুধু জাতির পিতা নয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব থেকে শুরু করে ছোট্ট রাসেল পর্যন্ত তাঁর পরিবারের ২০ জন সদস্যকে হত্যা করে ঘাতকরা। এমনকি পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে সংসদকে কলঙ্কিত করে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টম্বর ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিলো এবং ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বৈদেশিক দূতাবাসে পদায়ন করে পুরস্কৃত করা হয়েছে যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যুক্তরাজ্যে যে অনুসন্ধান কমিশন গঠিত হয়েছিল, তার সদস্যদের বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হয়নি। ১৯৮১ সালে বিদেশি এই কমিশনের সদস্যদের বাধা দেওয়ার সময় বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি ছিলেন জিয়াউর রহমান, যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়াকে তার নিজস্ব পথে এগোতে দেয়া হয়নি। বিচার পাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বাংলাদেশ তৎকালিন সরকারের প্রতি আহ্বান রেখেছিল স্বাধীন এই অনুসন্ধান কমিশন, তাতেও কান দেওয়া হয়নি। জাতীয় শোক দিবসে আমাদের আমরা বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর