জাবির নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্যান চালককে মারধরের অভিযোগ

, ক্যাম্পাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 04:03:02

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনের বিরুদ্ধে নাহিদ হক নামে এক ভ্যান চালককে মারধর ও মাদকের মামলা প্রদানের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৮ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ভ্যান চালক নাহিদ হক এসব তথ্য জানান।

ভুক্তভোগী ভ্যান চালক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে ভ্যান চালানোর সময় সুদীপ্ত শাহিন আমাকে চৌরঙ্গী মোড় থেকে আটক করেন। আমাকে কনট্রোল রুমে ধরে নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে এবং গায়ে মুখে কিল ঘুষি দিতে থাকে। প্রায় চার ঘণ্টা আমাকে ঐ রুমে আটকে রাখে। মারধরের ঘটনা বাইরে বলবো না এই শর্তে আমাকে মুক্তি দেয়। মারধরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললে ড্রাগের ব্যবসায়ী হিসেবে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় আমাকে।’

ক্যাম্পাসে রিকশা ও ভ্যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ভ্যান নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে নাহিদ হক বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দা মরিয়ম লিজা ফোন করে প্রান্তিকে যেতে বলেন। সেখান থেকে তার বৃদ্ধ বাবা ও বোনকে কোয়ার্টারে পৌঁছানোর জন্যই আমি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করি।’

এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক সৈয়দা মরিয়ম লিজা বলেন, ‘এ ঘটনাটি আমার জন্য অত্যন্ত দুঃখের। আমার জন্য একজন নিরীহ ভ্যান চালককে মারধরের শিকার হতে হয়েছে। আমি ইতিমধ্যে সেই ভ্যান চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করবো। এছাড়াও আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। এ ঘটনার যেন সুষ্ঠু বিচার হয় সেজন্য চেষ্টা করবো।’

এদিকে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় অবৈধভাবে ক্যাম্পাসে ভ্যান চালানোর কারণে নাহিদকে আটক করা হয়েছিল। পরে রাতেই তাকে ভ্যানসহ ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘সুদীপ্ত শাহীনের নামে একাধিক অভিযোগ ইতিমধ্যে আমাদের কাছে এসেছে। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট জমা দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। আর নাহিদের মারধরের বিষয়টি আমি শুনেছি। আগামীকাল (সোমবার) নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের সাথে কথা বলবো। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

সুদীপ্ত শাহীনের বিরুদ্ধে তদন্তকারীর প্রধান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, সুদীপ্ত শাহীন বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলোর তদন্ত শেষ হয়েছে। শুধু একজন আইন কর্মকর্তাকে দিয়ে অভিযোগগুলো লেখার কাজ বাকি আছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি তদন্তের রিপোর্ট জমা দিবো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর