বশেমুরবিপ্রবি: প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য

, ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বশেমুরবিপ্রবি | 2023-09-01 22:37:30

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ শূন্য গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। শুধুমাত্র এই দুই পদ-ই নয় বর্তমানে শূন্য রয়েছে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক, শেখ হাসিনা কৃষি ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অফ লিবারেশন ওয়ার অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজের পরিচালক এবং একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান পদও। এছাড়া রেজিস্ট্রারসহ চারটি অনুষদের ডিন পদে নিয়োগকৃতদের সকলেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন কাজ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপ-উপাচার্য পদ থাকলেও এ পদের নির্দিষ্ট কোন দায়িত্ব নেই। উপ-উপাচার্য প্রধানত উপাচার্যের অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। এতে উপাচার্যের ওপর চাপ কম থাকে এবং প্রশাসনিক কাজও দ্রুত সম্পন্ন হয়। তবে উপ-উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একাই করতে হয়েছে।

অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংক্রান্ত সব কাজ কোষাধ্যক্ষের হাত দিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও কোষাধ্যক্ষ পদটি শূন্য থাকায় অর্থ সংক্রান্ত কাজও উপাচার্যকেই করতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন উপাচার্যকে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হচ্ছে অপরদিকে ক্ষমতাও সম্পূর্ণরূপে এককেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড.নূরউদ্দিন আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪.কম’কে বলেন, এই পদগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উপ-উপাচার্য যেমনি প্রয়োজন তেমনি কোষাধ্যক্ষও। কোষাধ্যক্ষের হাতে ‘ব্যালেন্স অফ’ পাওয়ার থাকে যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংক্রান্ত কাজ গুলো ভালোভাবে পরিচালিত হয়। আগে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর ছোট ছিলো সরকার এজন্য নিয়োগ দেয়নি। আশা করি, নতুন ভিসি স্যার সরকারের সাথে সমন্বয় করে পদগুলো পূরণ করবে।

এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪.কম’কে বলেন, এ বিষয়গুলো সরকার অবগত আছে।সরকার যখনই মনে করবে তখনই হবে।তবে এই মুহূর্তে আমার উপ-উপাচার্য থেকে কোষাধ্যক্ষ বেশি দরকার।

এদিকে, রেজিস্ট্রারসহ চারটি অনুষদের ডিন পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো আস্তে আস্তে সমাধান করা হবে। রিজেন্ট বোর্ড ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলিং এর মিটিং হয়না প্রায় দুই বছর। এ বছরের আর দুই মাস আছে। দুই মাসের ভিতরেই রিজেন্ট বোর্ড এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলিং এর মিটিং হবে। তখন এ বিষয়গুলো আলোচনা করে আস্তে আস্তে সমাধান করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর