বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব।
দেশের মানুষ কীভাবে এর সুফল পাচ্ছে তা আমরা বৈশ্বিক সঙ্কট এই করোনাকালে বেশ ভালোভাবেই উপলদ্ধি করছি। স্বাস্থ্যসেবা থেকে কোরবানির গরু কেনাসহ নানা ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্লাটফর্মের ব্যবহার হচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়তই এর গুরুত্ব বেড়ে চলেছে।
রোববার (০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রোবটিক্স ক্লাব, বশেফমুবিপ্রবির উদ্যোগে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘রোবটিক্স অ্যান্ড অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস ইন মর্ডান এজ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তা ছিলেন জাপান- বাংলাদেশ রোবটিক্স অ্যান্ড অ্যাডভান্সড টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতানও চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ফারহান ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, তথ্য-প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের মানুষের অধিক হারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। এর পেছনে অর্থাৎ স্থপতি হিসেবে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি আরো বলেন, দেশে একটি শক্তিশালী আইটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা, ই-গভর্ন্যান্স প্রবর্তন ও বৃহৎ পরিসরে আইটি শিক্ষা চালুর মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে একটি বিশদ ধারণাপত্র ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। যা বাস্তবায়ন হলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশও নেতৃত্ব পর্যায়ে থাকতে সক্ষম হবে।
ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, মর্ডান এজ তথা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে রোবটিক্স অ্যান্ড অ্যাডভান্স টেকনোলজিস যেমন- ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে নতুন ওই প্রযুক্তিতে খাপখাওয়াতে হলে শুধু টেকনিক্যাল নয়, নন-টেকনিক্যাল যারা রয়েছেন তাদেরও এ বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করা প্রয়োজন।
রোবটিক্স ক্লাব, বশেফমুবিপ্রবি এর সভাপতি ও সিএসই বিভাগের প্রভাষক মো. হুমায়ন কবির এর পরিচালনায় ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বশেফমুবিপ্রবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ও রোবটিক্স ক্লাবের উপদেষ্টা ড. মাহমুদুল আলম, সিএসই বিভাগের প্রভাষক সুজিত রায়, ইইই বিভাগের প্রভাষক মো. সিজার রহমান।
এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ওয়েবিনার শেষে অংশগ্রহণকারীদের ই-সনদ প্রদান করা হয়।