১১ বছরেও সমাধান হয়নি বশেমুরবিপ্রবি’র আবাসন সংকট

, ক্যাম্পাস

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি, বার্তা২৪.কম, গোপালগঞ্জ | 2023-09-01 20:23:26

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর প্রায় ১১ বছর পার হলেও আবাসন সমস্যার সমাধান হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ৪১নং ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় বিধান দ্বারা নির্ধারিত স্থান ও শর্তাধীনে বসবাস করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার। আর হল রয়েছে মাত্র পাঁচটি। যার মধ্যে ছাত্র হল তিনটি ও ছাত্রী হল দুইটি। এসব হলে সর্বসাকুল্যে দুই হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মাত্র ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসদ ব্যবস্থা রয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ (২০১৯) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১০ হাজার ৯৮৯ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে আবাসন সুবিধা পান মাত্র এক হাজার ৯৪৭ জন। অর্থাৎ মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ১৭ শতাংশ। অথচ ২০১৩ সালে ইউজিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ দমমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধার আওতায় ছিল। ফলে গত কয়েক বছরে আবসন সুবিধা কমেছে প্রায় ১৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

ইউজিসি কর্তৃক প্রকাশিত ২০১৩ ও ২০১৯ সালের প্রতিবেদন তুলনা করলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে ৩১ দশমিক ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৪৯ দশমিক ৭২ শতাংশ ছাত্রী আবাসন সুবিধা পেতো। বর্তমানে সেটা কমে সেটা যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও ২৬ দমমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে আসন সংখ্যা বাড়ানোর কারণে প্রকট হয়েছে আবাসন সংকট।

ইউজিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে বশেমুরবিপ্রবি’তে স্নাতক প্রথম বর্ষে আসন সংখ্যা ছিল ৬৭০টি। আর ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৯৯২টি।

আবাসন সঙ্কট নিরসনে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বশেমুরবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, ‘নতুন নতুন হল নির্মাণ না হলে এই সংকট নিরসন সম্ভব নয়। নতুন হল নির্মাণের জন্য ইউজিসি বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এজন্য আমাদের মাস্টার প্ল্যান আছে। এই প্ল্যানের মধ্যে নতুন হল, একাডেমিক ভবনসহ অনেক কিছু নির্মাণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হল বাড়ালেই আবাসন সংকট অনেকাংশে নিরসন হবে। আর নতুন যে হল হবে তা আগের মতো পাঁচতলা বা ছয় তলা হবে না। দশ তলা বিশিষ্ট হল হবে এবং এতে লিফ্ট থাকবে। তবে এটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর