বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসে হামলা চালিয়ে ১১ জনকে আহত করার ঘটনায় যাত্রীবিহীন বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কুয়াকাটা এক্সপ্রেস নামে একটি বাসে অগ্নি সংযোগ করা হয়। এর আগে সকালে বাসটি যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে ছেড়ে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসলে শিক্ষার্থীরা বাসে ভাঙচুর করে। এসময় বাসে থাকা যাত্রীরা যার যার মতো করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রুপাতলি বাস স্টেশনে খুলনাগামী বিআরটিসি বাসের টিকিট কেনা নিয়ে স্টাফদের সাথে দুই শিক্ষার্থীর বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত ও অপর শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করে পরিবহন শ্রমিকরা।
এঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করে। এরপর জড়িত বাস স্টাফ রফিককে আটক করে পুলিশ । এরই জের ধরে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে বরিশাল নগরীর রুপাতলী হাউজিং এলাকার ২৩নং রোডের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি মেসে হামলা চালায় রুপাতলীর স্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিকরা।
এতে আহত হয়েছে অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থী । পরে তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের নুরুল্লাহ সিদ্দিকী, রসায়ন বিভাগের এস এম সোহানুর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আহসানুজ্জামান, গণিত বিভাগের ফজলুল হক রাজীব, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আলীম সালেহী, বোটানি ও ক্রপ সাইন্সের আলী হাসান, বাংলা বিভাগের মোঃ রাজন হোসেন এবং মার্কেটিং বিভাগের মাহবুবুর রহমান, মাহাদী হাসান ইমন, মিরাজ হাওলাদার ও সজীব শেখ।