প্রশাসনের আশ্বাসে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে অনশন ভাঙলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষকেরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস পান করান এবং শিক্ষার্থীদের দেওয়া ছয়টি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
রোববার বিকেল ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষাসহ ছয়টি দাবিতে অনশনে বসেছিলেন ওই শিক্ষার্থীরা।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ছিলো- আগামী ২৫ মে থেকে ৩০ জুনের মধ্যে সব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে, আগামী ৭ মার্চের মধ্যে ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন দিতে হবে, ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশ করতে হবে, ৭ মার্চের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের অনলাইন ক্লাসের রুটিন দিতে হবে, এ বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে, যেসব শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করতে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নন, তাঁদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে, ২৪ মের আগে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শুরু হলে উপরোক্ত তারিখগুলো পুনর্বিন্যাস করে দ্রুততম সময়ে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু করতে হবে।
এসময় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত বলেন, শিক্ষকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। ছয়টি দাবি প্রশাসন মেনে নেওয়ার কথা বলেছে। শিক্ষকেরা শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে ছিলেন। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করেছেন। আমরা আশ্বস্ত হয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞানবিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এ মামুন, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট ও প্রক্টোরিয়ার টিমের সদস্যেরা।
গত ২ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত পরীক্ষার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন জাবির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে মানববন্ধন করেন তাঁরা। সবশেষে পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।