প্রায় তিন বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধান ফটকে গেট স্থাপন করা হয়েছে। গত ২৯ জুন রাতে ফটকের দুটি গেট পুনরায় স্থাপন করতে দেখা যায়।
জানা যায়, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদকে অপসারণের ঘটনায় ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট পালন করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা জবির মেইন গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। পরবর্তীতে আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা যেন তালা লাগাতে না পারে সে কারণে মেইন গেট খুলে নেয় জবি প্রশাসন। যদিও প্রশাসন বলে আসছে সংস্কারের জন্য খুলে রাখা হয়েছিলো গেটটি।
দীর্ঘ তিন বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে গেট না থাকায় নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তা কর্মীরা। এর আগে একাধিকবার প্রশাসনের নিকট অভিযোগ জানানো হলেও গেট স্থাপনের কাজটি আলোর মুখ দেখেনি। তবে দীর্ঘদিন পর হলেও পুনরায় আবার গেট ফিরে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তাকর্মীরা।
সন্তোষ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বরকত উল্লাহ উৎস নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি পুরান ঢাকার অন্যতম জনবহুল একটা এলাকায়। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিন রাত বিভিন্ন রকমের মানুষের আনাগোনা থাকে। আমরা দেখেছি যে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর নানা ধরনের মানুষের পদচারণা দেখা যেতো। এছাড়াও সর্বসাধারণের প্রবেশের ফলে অনেক সময় আমরা নিজেরাও বিব্রত অবস্থায় পড়তাম। দীর্ঘদিন পর হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে গেটটা আবার পুননির্মাণ করেছে এজন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
জবির প্রধান ফটকের গেট কিপার বাবুল মিয়া বলেন, গেট ছিলো না প্রায় তিন বছর। প্রশাসন ক্রসবার সেট করে দিছিলো । আমরা সেটা দিয়েই দায়িত্ব পালন করছিলাম। নির্দিষ্ট গেট না থাকার কারণে আমরা অনেক সময় অনেক বিড়ম্বনার শিকার হয়েছি, বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে। তবে নতুন গেট নির্মাণ হওয়ায় এখন থেকে আর ওই সমস্যা সৃষ্টি হবে না আশা করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, নতুন উপাচার্য স্যার আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি প্রধান ফটকে গেট পুনঃস্থাপন করতে বলেন। করোনাকালীন সময়ে যেনো বহিরাগতরা যত্রতত্র ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য গেট নির্মাণ করা।
তবে দীর্ঘ তিন বছর কেনো প্রধান ফটকে গেট ছিলো না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমি জানি না। রেজিস্ট্রার স্যার ভালো বলতে পারবেন।
এবিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।