জাবিতে এডিস মশার উৎপাত, ডেঙ্গু আতঙ্ক

, ক্যাম্পাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার | 2023-08-31 13:30:28

সম্প্রতি ঢাকার দুই সিটিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সিটির বাইরে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়ও এখন মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ অবস্থানরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মশা যেন ঘরের ভেতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য অধিকাংশ বাসার জানালায় নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ব্যবস্থা, তবুও কমছে না মশার উপদ্রব। মশক নিধন স্প্রে করার দাবি তাদের।

দিনে-রাতে সমানতালে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ও আশপাশের এলাকার মানুষকে কামড়াচ্ছে মশা। করোনা মহামারির আতঙ্কের সঙ্গে ক্যাম্পাসবাসী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। এ পরিস্থিতিতে তারা মশকনিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো ও মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল কোয়ার্টার, প্রান্তিক সংলগ্ন কোয়ার্টারসহ অন্যান্য কোয়ার্টারে অবস্থানরত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা না নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশা বাসাবাড়িতে ঢুকছে। দরজা-জানালা বন্ধ করেও রেহাই নেই। মশার যন্ত্রণায় অনেকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। মশারি টানানোর পাশাপাশি কয়েল জ্বালিয়েও মশার উপদ্রব কমানো যাচ্ছে না। দিনের বেলায়ও কোনো কোনো জায়গায় মশার যন্ত্রণায় দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে অবস্থানরত কর্মকর্তারা জানান, দিন নেই, রাত নেই সবসময়ই মশার যন্ত্রণায় অস্থির তারা। মশার উৎপাতে সন্তানেরা সন্ধ্যায় ঘরে পড়াশোনা করতে পারে না। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। তারা বলছেন, অনেকদিন বন্ধ থাকার কারণে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান, হল, কোয়ার্টারের আশপাশের এলাকাসহ ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করা ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থাকায় মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া ক্যাম্পাসে যত্রতত্র ময়লা ফেলার প্রবণতাও বাড়ছে। এগুলো দেখে মনে হয় মশারাই জাহাঙ্গীরনগর।

এছাড়া প্রতি বছর শীতের শুরু থেকে বিভিন্ন সময় একাধিকবার মশক নিধন অভিযান হয়ে থাকলেও এবছর মাত্র দুবার করা হয়েছে স্প্রে। আবার স্প্রে করার কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না, উদাসীনতার পরিচয় মিলছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।

ক্যাম্পাস এখনো কতোটা বিপদমুক্ত এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ক্যাম্পাসের জলাধারের পানি এখনো পচে যায় নাই। এটা বিপদজনক নয়। আর ক্যাম্পাসে যত্রতত্র যেসব ময়লা-আবর্জনা রয়েছে, সেখানে কিউলেক্স মশা জন্মায়, যেটা বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে, তবে এডিস মশা এসব ময়লাতে জন্মায় না। তবুও নিরাপদ থাকা ভালো আর ভাঙা পাত্র যেখানে-সেখানে না ফেলে রাখাই উত্তম। কারণ এগুলোর ভেতর মশক জন্ম নিতে পারে। আর কোথাও পানি জমতে দেওয়া উচিত হবে না। এবিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

মশক নিধন ওষুধ ছিটানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এস্টেট) মো. আব্দুর রহমান বলেন, এবছর আমরা দুইবার ড্রেনগুলোতে স্প্রে করেছি। তবুও ক্যাম্পাসে মশার প্রকোপ বেশি। খুব শিগগিরই আরও একবার আমরা স্প্রে করবো। সেই প্রস্তুতি চলছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর