করোনার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। কিন্তু এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি কবে নাগাদ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা হবে। আর সেই সিদ্ধান্ত নিতেই চলতি সপ্তাহে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজে সশরীরে ক্লাস শুরুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় এ সভায়।
কবে নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে সেই প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিদের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে অন্ততপক্ষে সব শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা নেওয়ার পরে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। সেই আলোকে মধ্য অক্টোবর ঠিক করা হয়েছিল। তবে এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আমি আবারও এই সপ্তাহে উপাচার্যদের সঙ্গে হয়ত বৈঠক করব। সেখানে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তারা যদি সিদ্ধান্ত নেন যে তারা অক্টোবরের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন…।
তিনি বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিদ্ধান্ত তাদের সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিকভাবে হয়ে থাকে, তাই এ সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে আবারও একটি বৈঠক করব।
তিনি আরও বলেন, এইবার আমরা দেখছি আমাদের সংক্রমণের হার দ্রুত নেমে যাচ্ছে। আমাদের গত বছরের অভিজ্ঞতা বলে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সংক্রমণের হার অনেক কমে গিয়েছিল। কাজেই এই যে সংক্রমণের হার কমছে এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত ও তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র আগস্ট মাসের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তথ্যনুযায়ী সংক্রমণের হার প্রায় ৭০ ভাগ নেমে গেছে। এখন যে অবস্থা বিরাজ করছে তার পাশাপাশি আমাদের টিকাদান কর্মসূচি যে বিপুল গতিতে চলছে ।
করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি চলছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি আছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হবে। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে ছুটি আর বাড়ছে না।