আগামী ৯ অক্টোবর শনিবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হল খোলার ঘোষণা এলেও হলগুলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্নাঙ্গভাবে প্রস্তুত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সরজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ ছুটিতে হলগুলোর রং, পানির লাইন ও বিদ্যুত লাইন অকেজো হয়ে আছে। অকেজো লাইনগুলো সতেজ করার জন্য ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে বরাদ্দ দিয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। বরাদ্দের টাকায় কাজ শুরু হয়েছে গত ৪ অক্টোবরে। তবে সংস্কার কাজ চলছে একবারে কচ্ছপগতিতে।
কথা হয় কয়েকজন দিনমজুরের সাথে। তারা জানান, এসব কাজ করতে একমাস সময় দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের ১৫ দিন সময় দিয়েছে। হল খোলার বাকী আছে দুইদিন এসময়ে কাজ শেষ করতে পারবেন? জানতে চাইলে তারা জানান, দুইদিনে টুকিটাকি কাজ শেষ করা যাবে। দুইদিনে হলগুলোর সকল কাজ করা করা সম্ভব না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখা থেকে জানা যায়, ৮ টি আবাসিক হলের সংস্কার ও মেরামতের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পেয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আবাসিক হলগুলোর রং, পানির লাইন ও বিদ্যুত লাইন মেরামতসহ হলের অনান্য সংস্কারের কাজ করা প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ মো. তারেক বলেন, ‘গত ২৭ তারিখে টেন্ডার ওপেন করা হয়েছে। গত শনিবার (২ অক্টোবর) এই কাজ লটারির মাধ্যমে ঠিকাদারদের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। টেন্ডার করার পর কিছু প্রক্রিয়া করতে কিছুদিন সময় চলে গেছে।
আমাদের ধারনা ছিল অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে হল খোলা হবে। সেভাবেই আমরা আগাচ্ছিলাম। এখন যেহেতু হল খোলার দিনক্ষণ শুরু হয়ে গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত (৪ অক্টোবর) সোমবার কাজ শুরু করেছে। পানির লাইন ও বিদ্যুত লাইনগুলো জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা হবে। অন্য কাজগুলো ধীরে ধীরে করা হবে।’
প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনও যোগাযোগ করেনি। হল ফান্ড থেকে টুকিটাকি কাজ করা হয়েছে। হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এখনও সময় আছে কাজ করার। এরমধ্যেই আমরা কাজ শেষ করে দিবো। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’