হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার পর সার্বিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশপথসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার আওতায় আনার প্রস্তাব করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ইতিপূর্বে ৩২ টি ক্যামেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লাগানো আছে। নতুন করে আমরা আরো ৩২ টি উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা করছি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে আমরা আসন্ন জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার আগেই ক্যামেরা লাগিয়ে ফেলবো। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়াবলি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি অতি শীঘ্রই শিক্ষার্থীরা এর ফলাফল দেখতে পারবে।’
এদিকে, অতি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও উপাচার্যদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসগুলোতে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বৈঠকের সভাপতি ও মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি একটি গোপন বৈঠক ছিল। তাই, আমি এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।’
অন্যদিকে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষার্থী বলেন, ‘এটি নিসন্দেহে অনেক ভালো উদ্যোগ। তবে এতো অল্প ক্যামেরা দিয়ে পুরো ক্যাম্পাস কাভার করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিকেএসপি থেকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড পর্যন্ত রাস্তাটি জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে মনিটোর করার উদ্যোগ নিতে পারে তবে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা ছিনতাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতো।’