জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরিক্ষা আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগ ও তিনটি ইনস্টিটিউট মিলিয়ে মোট আসন ১ হাজার ৮৮৯টি। এরমধ্যে ছাত্র ৯৫০ এবং ছাত্রীদের জন্য আসন রয়েছে ৯৩৯টি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনা মহামারি প্রতিরোধে সব আবাসিক হলের সামনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্যানিটাইজেশনের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সুরক্ষিত রাখতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, যা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করি, সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবো।’
ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রীদের আসন-
‘এ’ ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ)
এ অনুষদে মোট আসন ৪১০টি, যার মধ্যে ছেলেদের ২১০টি ও মেয়েদের ২০০টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে রসায়ন বিভাগে ৭০টি (ছেলে- ৩৫, মেয়ে-৩৫), পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে-৩৫), গণিত বিভাগে ৭৫টি (ছেলে-৪০, মেয়ে-৩৫), পরিসংখ্যান বিভাগে ৬৫টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে-৩০), ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০টি (ছেলে- ২৫, মেয়ে-২৫) এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০) আসন রয়েছে।
‘বি’ ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ)
এ অনুষদে বর্তমানে আসন সংখ্যা ৩২৬টি। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য ১৬৩টি ও মেয়েদের জন্য ১৬৩টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে সরকার ও রাজনীতি বিভাগে ৬৬টি (ছেলে-৩৩, মেয়ে-৩৩), নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০), নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০) অর্থনীতি বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে-৩৫), ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ৬০টি (ছেলে- ৩০, মেয়ে-৩০) এবং লোক প্রশাসন বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫) আসন রয়েছে।
‘সি’ (কলা ও মানবিক অনুষদ)
এ অনুষদে আসন সংখ্যা ৪৩৭টি। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য ২১৯টি এবং মেয়েদের জন্য ১১৮টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে-৩৫), জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ৩৬টি (ছেলে-১৮, মেয়ে- ১৮) বাংলা বিভাগে ৬০টি (ছেলে- ৩০, মেয়ে-৩০), ইংরেজি বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে- ৩৫), ইতিহাস বিভাগে ৬০টি (ছেলে-৩০, মেয়ে-৩০), দর্শন বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫), প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ৩০টি (ছেলে-১৫, মেয়ে-১৫), নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে ২৬টি (ছেলে-১৩, মেয়ে-১৩) এবং চারুকলা বিভাগে ৩৫টি (ছেলে-১৮, মেয়ে-১৭) আসন রয়েছে।
‘ডি’ ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ)
এ অনুষদে মোট আসন সংখ্যা ৩২০টি। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য ১৬০টি এবং মেয়েদের জন্য ১৬০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে ফার্মেসি বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫), প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগে ৬০টি (ছেলে- ৩০, মেয়ে-৩০), মাইক্রোরায়োলজি বিভাগে ৩৬টি (ছেলে-১৮, মেয়ে-১৮), বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২৪টি (ছেলে-১২, মেয়ে-১২), উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে ৬০টি (ছেলে-৩০, মেয়ে-৩০), প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ৫০টি (ছেলে -২৫, মেয়ে-২৫) এবং পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০) আসন রয়েছে।
‘ই’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ)
এ অনুষদে মোট আসন সংখ্যা ২০০টি। এর মধ্যে ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য ১০০টি করে আসন রয়েছে। মার্কেটিং বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫), অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫) এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে- ২৫) আসন রয়েছে।
‘এফ’ ইউনিট (আইন অনুষদ)
এই অনুষদে ছেলেদের ৩০টি এবং মেয়েদের ৩০টি করে মোট ৬০টি আসন রয়েছে।
‘জি’ ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-আইবিএ)
এ অনুষদে ছেলেদের ২৫টি এবং মেয়েদের ২৫টি করে মোট ৫০টি আসন রয়েছে।
‘এইচ’ ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি-আইআইটি)
এ অনুষদে ছেলেদের ২৮টি এবং মেয়েদের ২৮টি করে মোট ৫৬টি আসন রয়েছে।
‘আই’ ইউনিট (বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট)
এ অনুষদে ছেলেদের ১৫টি এবং মেয়েদের ১৫টি করে মোট ৩০টি আসন রয়েছে। শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করা এই আসনগুলোতে ভর্তি হতে পারবে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় এ বছর আবাসিক হলগুলোতে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।