বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রথম বর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে অন্যান্য বছরের মতো এবারও মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন কোটায় ভর্তির সুবিধা থাকছে না।
কোটা না রাখার পক্ষে যুক্তি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক চিঠিতে জানিয়েছে, ‘কোটা সিস্টেম চালু হলে বুয়েটের শিক্ষাকার্যক্রমের স্টান্ডার্ড (মান) ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য ‘পোষ্য কোটা’ সুবিধা বহাল রেখেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বুয়েটে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ভর্তির ক্ষেত্রে কোটার বিষয়ে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল’-এর আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষার বুয়েট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। ওই চিঠির জবাবে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো ফোরকান উদ্দিন লিখিত জবাব দেন।
বুয়েট রেজিস্ট্রার ওই চিঠিতে জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এতদসংক্রান্ত বিষয়ে ২০০৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আলোচনা হয়। ওই সভায় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোটা পদ্ধতি না রাখার সিদ্ধান্ত হয়।’
ওইদিন একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভর্তির জন্য ন্যূনতম ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা ও পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের পোষ্যদের জন্য ভর্তির কোটা থাকলেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো কোনো কোটা ছিল না এবং এখনো নেই।’
‘মুক্তিযুদ্ধ প্রায় ৩৪ বছর আগে হয়েছে এবং এ যাবত কোনো কোটা ছাড়াই বুয়েটে শিক্ষাকার্যক্রম চলছে। কোটা সিস্টেম চালু হইলে বুয়েটের শিক্ষাকার্যক্রমের স্ট্যান্ডার্ড ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকিবে। সার্বিক বিবেচনায় একাডেমিক কাউন্সিল কোটা সিস্টেম চালুর বিপক্ষে মতামত দেন’ বলে সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়।