প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে নিখিল রঞ্জন ধরকে।
রোববার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।
এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে নিখিল রঞ্জন ধর জড়িত কিনা তা তদন্তে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে আসে বুয়েটের শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধরের নাম।
তবে নিখিল রঞ্জন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি প্রশ্ন তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। শুধু সেখানে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিতাম। দেলোয়ার যা বলছে, এটা ঠিক নয়। আমি বুয়েটের শিক্ষক, আমি কেন প্রশ্ন নিয়ে আসব।
নিখিল বলেন, ওরা যখন টেকনিক্যাল সাপোর্ট চায়, আমি তখন যাই। সিট ও সেন্টার অ্যারেঞ্জমেন্টটা আমি করি। প্রশ্নের সব কিছু উনারাই করেন।
ডিবির তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদাত হোসেন সুমা বলেন, তদন্তে অনেকের নামই পাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাবে না।
এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দেলোয়ার ও রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহাখালী থেকে পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তিনজনই ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদেও অপরাধ স্বীকার করে বলেন, ছয় বছর ধরে প্রশ্নফাঁসের সাথে তারা জড়িত।
৬ নভেম্বর সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করে কীভাবে উত্তর তৈরির কাজ হয়েছে তা বর্ণনা করেন তারা।
দেলোয়ারের দাবি, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অল্প টাকায় পরীক্ষার টেন্ডারগুলো আনতেন বুয়েটের শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধর। দেলোয়ারও নিখিলের ব্যাগে প্রশ্ন দিয়েছেন কয়েকবার। তবে ব্যাগে প্রশ্ন নিয়ে নিখিল তা বিক্রি করেছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করতে পারেননি দেলোয়ার।