জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা আইডিকার্ড দেখালেই হাফ ভাড়া সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্র প্রতিনিধি, পুলিশ প্রশাসন ও পরিবহন মালিক সমিতির সাথে এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের আইডিকার্ড প্রদর্শন করলে সপ্তাহের প্রত্যেকদিন যে কোনো সময় সব পরিবহনে হাফ ভাড়া সুবিধা পাবে। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকরা একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্য আচরণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে পরিবহন শ্রমিকদের ভুল বুঝাবুঝি ঘটলে গাড়ির নম্বর ও সময় উল্লেখ করে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস অথবা সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ও বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানোর জন্য ডিএমপি কমিশনার বরাবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আবেদন করা হবে।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কাজী নূর হোসেন, ড. মো. রেজাউল করিম, নিউটন হাওলাদার, কাজী ফারুক হোসেন, শাহনাজ পারভিন, কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান, কোতোয়ালি থানার ট্রাফিক ইনচার্জ কাজী আমিনুল ইসলাম, সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাহিদুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম টিটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাকিল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রবিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক আহসান জোবায়ের, মালিক সমিতির পক্ষে তানজিল পরিবহনের এমডি মোহাম্মদ জাহিদ হাসান, বিহঙ্গ পরিবহনের পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, সাভার পরিবহনের ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান, আজমেরি গ্লোরী পরিবহনের পরিচালক মো. সাহিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া নিয়ে দাবি জানিয়ে আসছিলো। হাফ ভাড়ার জের ধরে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে এজন্য আমরা সবাইকে নিয়ে বৈঠক করি। আইডিকার্ড দেখানো শর্তে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকরের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ থাকবে কোনো অভিযোগ থাকলে ঝামেলায় না গিয়ে আমাদের জানাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে বাসস্ট্যান্ড অপসারণের বিষয়েও আমরা পদক্ষেপ নিবো।