যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) সোশ্যাল সায়েন্স সিলভার অ্যাওয়ার্ড ২০২১ পেয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)। ওয়ারটন-কিউএস রিইমেজিন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড বিশ্বে ‘শিক্ষায় অস্কার’ হিসেবে পরিচিত। সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষকে নিজের জীবন-ঘনিষ্ঠ গল্প বলতে উৎসাহিত করার কাজে অবদান রাখায় ইউল্যাবকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ইউল্যাব।
এতে বলা হয়, কিউএস রিইমেজিন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব (ডিআইএমএফএফ)। কিউএস রিইমেজিন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড ক্যাটেগরিতে ইউল্যাব থেকে অংশ নেয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (ডিআইএমএফএফ) যা ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের একটি আউটরিচ প্রোগ্রাম।
ডিআইএমএফএফ সমাজের নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের নিজেদের জীবন-ঘনিষ্ঠ গল্প বলতে উৎসাহিত করে থাকে, যা থেকেই তারা সৃজন করে তাদের সৃজনশীল চলচ্চিত্র। এটি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রামাণিক চিত্র প্রচারের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে উৎসাহিত করে; যেখানে গল্পের চরিত্র নিজের কণ্ঠেই তার গল্প উপস্থাপন করে। ডিআইএমএফএফের কার্যনির্বাহী কমিটি এবং স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ একটি বাৎসরিক আয়োজন সফল করতে পুরো বছর ধরেই কাজ করে থাকে।
বৈশ্বিক কল্যাণে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখায় স্পেনের পম্পেউ ফাবরা ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সায়েন্স গোন্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে নেয়। ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে সুইজারল্যান্ডের ইকোল হোটেলিয়েরে দে লাউসেন স্কুল। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির (ভিআর) পরীক্ষামূলক শিক্ষা ও ভার্চুয়াল হাউজকিপিং প্রকল্পের জন্য তারা এ অ্যাওয়ার্ডটি অর্জন করে।
চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর কিউএস রিইমেজিন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড এবং সম্মেলন শুরু হয় এবং এটি শেষ হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর। ২৫টিরও বেশি বিভাগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সহস্রাধিক প্রকল্প এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বিজয়ী এবং সেরা অনলাইন প্রকল্পগুলোর নাম ঘোষিত হবে অনুষ্ঠানের শেষ দিন।
মূলত: প্রকল্প পদ্ধতি, প্রকল্প, প্রকল্পে অংশগ্রহণ, প্রভাব, কর্মপরিধি এবং প্রতিদ্বন্দ্বী তুলনা ও স্বতন্ত্রতা; এসব মানদণ্ডের বিচারে সেরা প্রকল্পগুলো নির্বাচন করা হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, ওয়ারটন-কিউএস রিইমেজিন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড এবং সম্মেলন হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ও সম্মেলন। যা কিনা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষাবিদকে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের পথে বাধা তৈরি করে তাদের সেই সব নানাবিদ সমস্যা শনাক্ত করার পাশাপাশি তার টেকসই সমাধানের জন্য উৎসাহ যুগিয়ে থাকে।