কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার খাতা যথাযথ মূল্যায়ন না করার অভিযোগ তুলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এক আবেদনকারী। অভিযোগকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের এবং ইংরেজি বিভাগের একমাত্র স্বর্ণপদক জয়ী শিক্ষার্থী মেরিয়া নুসরাত সরকার।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতর তার এ লিখিত অভিযোগ জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
উক্ত অভিযোগ পত্রে কুবি'র সাবেক এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার পরীক্ষা যথেষ্ট ভালো হয়েছিল। কিন্তু আমাকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগই দেয়া হয়নি। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, লিখিত পরীক্ষার পর কয়েকজন প্রার্থী মাত্র দুইটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলো বলে আমাকে জানায়। অথচ তারাও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।’
খোঁজ নিলে জানা যায়, মেরিয়া নুসরাত সরকার কুবি'র ইংরেজি বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ইংরেজি বিভাগ থেকে প্রথম এবং একমাত্র স্বর্ণপদক জয় লাভ করেছেন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ বছর ধরে তিনি শিক্ষক হিসেবে কর্মরতও আছেন। এছাড়াও তার একাধিক মৌলিক প্রকাশনাও রয়েছে।
স্বর্ণপদক জয়ী একজন শিক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ দেখানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক পদের একজন শিক্ষক বলেন,‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকেই একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ফলাফল করেছে। আমরাই তাকে শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব দিয়েছি। আবার আমরাই তাকে লিখিত পরীক্ষায় বাতিল ঘোষণা করছি। এর মতো লজ্জাজনক কর্মকান্ড আর কিছু হতে পারে না।’
ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বনানী বিশ্বাসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষার সাথে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম না। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। আর এগুলো গোপনীয় বিষয় তাই আমি কিছু বলতে পারছি না।’
কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবিরের সাথে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি লিখিত পরীক্ষার স্বচ্ছতার কথা ব্যাখ্যা করে পরীক্ষার বাছাই পদ্ধতি নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতে পারেনা বলে দাবি করেন।