দেশে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা চলে এসেছে অথচ শেকৃবির ধীরগতির ইন্টারনেট সেবা যেন তৃতীয় প্রজন্মের সুবিধা দিতেই হামাগুড়ি খাচ্ছে। যার ফলস্রুতিতে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা।তবে এ বিষয়ে খুব বেশি সচেতন অবস্থায় নেই প্রশাসন।যেন গোড়ার গাড়ি দিয়ে নদী পাড়াপাড়ের মতো শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা প্রদানের প্রচেষ্টা।
শিক্ষার্থীদের অনলাইনে গবেষণা পত্র সংগ্রহ, বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণসহ উচ্চ গতির ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্ত নিজেদের পকেট থেকে প্রতি মাসে টাকা দিয়েও যথার্থ সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।যেখানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধার ব্যাবস্থা রাখা হচ্ছে।
এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘বিল দিয়ে একটি প্রাইভেট ব্রডব্যান্ড অপারেটরের কাছ থেকে সেবা নিলেও মাসের বেশির ভাগ সময়ই নেটের গতি অনেক ধীর থাকে। শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থায় নজর নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।আমরা নিজেরা এই সমস্যা গুলোর সমাধান করতে তো সক্ষম না। অবশ্যই আমাদের অভিভাবক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকেই এই সমস্যা গুলোর সমাধান করা প্রয়োজন। এই আমাদের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তির সমাধান কবে তা অজানা ‘
কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলগুলোতে ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা থাকলেও এখানে তার উল্টো চিত্র, টাকা দিয়ে নেওয়া ইন্টারনেট সার্ভিসও খুব নিম্নমানের।
বিশ্ববিদ্যালয়টির একমাত্র সাইবার ক্যাফে বন্ধ হয়ে আছে ২ বছর ধরে। একাডেমিক ভবনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নেই ইন্টারনেটের কোনো ব্যবস্থা। প্রতিটা হলের হলের কমন প্লেসে ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা থাকলেও বেশির ভাগই এখন অচল।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫টি আবাসিক হলের প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান করে। যেখানে প্রত্যেক হলের প্রতিটি রুমে আলাদা ওয়াই-ফাই এর লাইন রয়েছে, যার বেশির ভাগই একটি প্রাইভেট অপারেটরের। লাইনপ্রতি মাসিক ৫০০/৪০০ টাকার সার্ভিস চার্জ দিতে হয় শিক্ষার্থীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৮৭ একরের এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২টি প্রাইভেট ব্রডব্যান্ডের লাইন রয়েছে। একটি স্পিডটেক অপরটি নেটপার্ক। কিন্তু অজানা কারণে নেটপার্কের অপারেটররা ক্যাম্পাসটিকে কোণঠাসা। শুধুমাত্র কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ১৬টা কক্ষে তাদের সেবা চলমান, বাকি কক্ষগুলোতে এবং অন্য ৪টি হলের সব কটিতে লাইন স্পিডটেক অপারেটরের।
আরও জানা যায়, ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের এক প্রভাবশালী নেতা নেটপার্ক অপারেটরকে ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট সার্ভিস দিতে নিষেধ করেছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা চাইলেও কেউ এই অপারেটরের লাইন নিতে পারে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘হলের ইন্টারনেটের বিষয় গুলো আমাদের হাতে নেই।তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায় কিনা সেটা আমরা দেখব।’