দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং উৎপাদিত পণ্যের সঠিক গুণাগুণ বজায় রাখা সংশ্লিষ্ট গবেষণায় নতুন দিগন্তে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি পরিবেশ রসায়ন গবেষণাগার।
কৃষি ও কৃষি গবেষণাকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিকতার দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে চলেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি পরিবেশ গবেষণাগার। কৃষি গবেষণার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত গবেষণাগারটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি এর শিক্ষার্থীদের গবেষণাকে আরও উন্নত করতে।
গবেষণাগারটিতে স্থান পেয়েছে ভারী ধাতু শনাক্তকারী অত্যাধুনিক এবজরপশন স্পেকট্রোফটোমিটার। দেশের উত্তরাঞ্চলের ৮টি জেলার সবজিতে কি পরিমাণ ভারী ধাতু বিদ্যমান, এ নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে এখানে। তাছাড়াও আর্সেনিকযুক্ত মাটিতে ধানের ফলনে প্রভাব ও ব্যবহারযোগ্যতা নিয়েও গবেষণা চলমান আছে।
এছাড়াও গবেষণাগারটিতে রয়েছে আধুনিক গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফি, ফ্লেম ইমিশন স্পেকট্রোফটোমিটার, আলট্রা ভায়োলেট স্পেকট্রো ফটোমিটার, রোটারি ইভাপোরেটর সহ বিভিন্ন সহায়ক যন্ত্র।
এখানে গবেষণারত এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানত গবেষণার স্থান। তবে বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন থাকে । কিন্তু কৃষি পরিবেশ রসায়ন ল্যাবে আমি কাজের মাধ্যমে গবেষণার যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছি। আশাকরি এমন গবেষণাগার বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও কিছু গড়ে উঠুক।
এ বিষয়ে গবেষণাগারের সাব প্রজেক্ট ম্যানেজার অধ্যাপক ড. শেখ শওকত জামিল বলেন, আমরা কৃষি গবেষণাকে আরও বেগবান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মূল লক্ষ্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে যা দেশের মানুষের স্বাস্থ্য বিবেচনায় ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারবে।
কৃষি বিজ্ঞানে গবেষণা নিয়ে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূইয়া বলেন, আমাদের স্নাতকোত্তর সকল শিক্ষার্থীকেই থিসিস করতে হয়। তাছাড়াও শিক্ষকরা প্রতিনিয়তই গবেষণার সাথে যুক্ত। কৃষি পরিবেশ রসায়ন গবেষণাগার ও তেমন কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে ফান্ড একটি বড় বিষয়। আমরা সকল ডিপার্টমেন্টেই প্রতি বছর বরাদ্দ দিয়ে থাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও বিভাগীয় গবেষণাগার গুলোতে গবেষণা চলমান রাখার জন্য।