চাঁদা না পাওয়ায় দোকান বন্ধের অভিযোগ ঢাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 00:48:15

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হলের পার্শ্বস্থ আনন্দ বাজারের দোকান মালিকদের কাছ থেকে এককালীন ১০ লাখ ও প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে হলটির শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে। দাবিকৃত টাকা না পাওয়াতে গত ৯ দিন ধরে ৭টি দোকান বন্ধ করে রেখেছেন তারা। এছাড়া মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানান অভিযোগকারী দোকানদাররা।

অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়টির অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ. মনন এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ।

দোকান মালিকরা জানান, গত শনিবার (১৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে দোকান খোলা অবস্থায় অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি এনায়েত এইচ. মনন এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ একদল নেতাকর্মী নিয়ে আনন্দ বাজারের ওই দোকানগুলোতে গিয়ে দোকান মালিকদের চাঁদার জন্য হুমকি-ধমকি দেন।

এরপর শবে বরাতের রাতে ওই ব্যবসায়ীদের ওয়ান স্টার হোটেলে ডেকে নিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা। সেই টাকা না পেয়ে গত ১২ মার্চ থেকে ৭টি দোকান বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়টির অমর একুশে হল‌ ছাত্রলীগ সভাপতি এনায়েত এইচ মনন বিষয়টির অস্বীকার করে বার্তা২৪.কম’কে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ষড়যন্ত্র করে এ অভিযোগ আনা হচ্ছে।

অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগও বিষয়টি অস্বীকার করেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। গত রবিবার আমি ঢাকা থেকে মাগুরায় গিয়েছি। আমি বা আমার হলের কেউ এর সাথে জড়িত নয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে কেউ যদি কোন ধরনের অনৈতিক এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কোনো কাজ করে, তাহলে আমরা অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ বলেন, এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো অভিযোগ পাইনি। তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। আমাদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তাদের (অভিযোগকারী) প্রতি আমার পরামর্শ হলো তথ্য প্রমাণসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর