চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও স্বপদে বহাল রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। গত বছরের ৩০ অক্টোবর তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। চাকরির মেয়াদ শেষে ছুটিতে না গিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি অনুযায়ী- কর্মকর্তাদের চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর। যা রহিমা কানিজের গত ৩০ অক্টোবর শেষ হয়। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি ১ নভেম্বর থেকে সাবেক উপাচার্য ফারজানা ইসলামের নির্দেশে অফিসে যোগদান করেন।
এদিকে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অফিসে যোগদান করার ব্যাপারে রহিমা কানিজ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সেশন বেনিফিটের কারণে তিনি এ সুযোগ ভোগ করতে পারছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় সেশন বেনিফিট তুলে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে আলাদা করে আর কোনো সুযোগ শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভোগ করতে পারবেন না। বরং যেদিন মেয়াদ শেষ হবে সেদিনেই শিক্ষক-কর্মকর্তাকে ছুটিতে যেতে হবে।
রহিমা কানিজ এ নিয়ম ভঙ্গ করে নিয়মিতভাবে অফিস করে যাচ্ছেন। ফলে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
এবিষয়ে রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, গত ৩০ অক্টোবর ছিল আমার শেষ কর্মদিবস। এরপর ১ নভেম্বর উপাচার্য আমাকে অফিস করতে বলেন। আমি নিজেও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম অফিস করবো কিনা। আমাকে তৎকালীন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য অফিস করার কথা বলেন, তখন আমি অফিসে আসি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য দিল আফরোজা বেগম বলেন, সেশন বেনিফিট অনেক আগেই উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তিনি কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকতে পারেন না। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকেন, সেটা অনৈতিক হয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে তার বিরুদ্ধে যা করা যায় করব।