একাত্তরের ২৫শে মার্চের ভয়াল কালো রাতে ঘুমন্ত বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় শহিদদের স্মরণে ও তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় জমালপুরে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫ মার্চ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শহিদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭১-এ রাতের অন্ধকারে নিরীহ বাঙালির ওপর হায়েনার মতো হামলে পড়েছিল পাকস্তানি হানাদার বাহিনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর রাস্তা আর অলি-গলিতে বাঙালির রক্তের হোলি খেলায় মেতে ওঠেছিলো হানাদারেরা। দেশজুড়ে চালায় হত্যাযজ্ঞ।
‘এই রাতে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তার আহ্বানে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাকে মুক্ত করে মানুষ।’
তিনি বলেন, আজ আমরা সেই ভয়াল ২৫শে মার্চের কালো রাতে আত্মোত্সর্গকারী শহিদদের স্মরণ করছি, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিকে অস্ত্র ধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিলো।
'তাই আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে হলেও ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখবো, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করবো,' যোগ করেন প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এসএমএ হুরাইরাসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।