শুধু ছাত্র ভর্তি নয়, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে লে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে জানতে হবে আগামীতে নিজেকে কোন বিশেষ অবস্থানে দেখতে চায়।
সোমবার (২৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যেন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ভর্তি করিয়ে আবাসন, খাবার, ক্লাসরুম সংকট যেন না হয়, এসব নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা শুধু সংখ্যার দিকে তাকাবো না, আমাদের ভারসাম্যতার দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। শিক্ষকদের ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের চেয়ে অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্লানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস যাতে সুন্দরভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা যায় সে সম্পর্কে সরকার সচেষ্ট রয়েছে এবং তার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানলে আমরা এ ভূখণ্ডকে জানবো, আমরা এ ভূখণ্ডের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্নের কথা জানবো। আমরা সেই অতীতের উপর ভিত্তি করে, বর্তমানে দাঁড়িয়ে, কোন ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাই, তার একটা স্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাবো, সেজন্য বঙ্গবন্ধুকে জানা খুব জরুরি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান।