জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের) শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বলয়ের জন্য দীর্ঘ ১৫ বছর পর সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের ৪ মাসের মধ্যেই বহুল আকাঙ্ক্ষিত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড.সৌমিত্র শেখর দে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুদীপ এলাকায় ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের শুভ উদ্ভোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর দে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর জালাল উদ্দীন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড.মো. আব্দুর রহিম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর আহমেদুল বারী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি শেখ সুজন আলী ও সাধারণ সম্পাদক তুহিন অবন্ত,রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড.হুমায়ুন কবির,বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষক,কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো.জুবায়ের হোসেন,সাধারণ সম্পাদক,লামিম আল করিব, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব,সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে উপাচার্য প্রফেসর ড.সৌমিত্র শেখর দে বলেন,"আমি ক্যাম্পাসে এসেই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইটে স্পিড ব্রেকার তৈরি করি। নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত এই ক্যাম্পাসকে স্মার্ট ক্যাম্পাস করার পদক্ষেপ হিসেবে আজকের এই শুভ ক্ষণে আমরা সীমানা প্রাচীর স্থাপন করার কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষককের রুম থেকে পরীক্ষার খাতা ও নথিপত্র , শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন থেকে চেয়ার, টেবিল, নির্মাণাধীন স্থান থেকে রড, সিমেন্ট চুরি হচ্ছে।শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সুউচ্চ প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।আমাদের এই কাজে সবাই সহযোগিতা করছে এবং করবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছে । এই কাজে আমাদের শক্তি ত্রিশালের জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সাধারণ জনগন, শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, সাংবাদিক বন্ধু ও শিক্ষার্থীরা। তবে সীমানা প্রাচীর গড়ার আগে আমাদের মনের সুদৃঢ় প্রাচীর গড়ে তোলা প্রয়োজন।