পুরোনো আমেজ মঙ্গল শোভাযাত্রায়

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 02:09:26

রজনীকান্ত সেনের গান ‘নির্মল করো মঙ্গল করো মলিন মর্ম মুছায়ে’ প্রতিপাদ্যে দু’বছর পর আড়ম্বরের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়’ পুরোনো আমেজ ফিরে এসেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এবং বহিরাগতদের অংশগ্রহণে সেই পুরোনো রূপ ফিরে এসেছে মঙ্গল শোভাযাত্রাতে।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে সকাল ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা’ শুরু হয়ে ভিসি চত্বর সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন হয়ে আবার টিএসসিতে গিয়ে ৯টা ৪৫ এ শেষ হয়।

বাহারি মুখোশে ১৪২৯ -র শোভাযাত্রা

করোনা মহামারি সামলে, এবারের শোভাযাত্রায় ছিল উপচে পড়া ভীড়। বাহারি রঙিন পোশাকে বাঙালি সাজে অংশ নিয়েছেন অনেকেই। পরিবারের ছোট্ট সদস্যটি কেউ বা কাঁধে কেউ বা কোলে করে আঙুল দেখিয়ে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন এবারের শোভাযাত্রার ভিন্ন ভিন্ন মোটিফের সঙ্গে। বাঙালিদের পাশাপাশি বিদেশিদেরও ছিল উপস্থিতি।

এবারের শোভাযাত্রায় ছিল ঘোড়া ও টেপা পুতুলসহ মোট পাঁচটি বড় মোটিফ ছিল ৷ প্রতি বছর ১০ থেকে ১২টি ভাস্কর্য করা হলেও এবার রাখা হয়েছিল চারটি। শোভাযাত্রার সম্মুখে লাল টেপা পুতুলের পরিবর্তে ছিল সাদা টেপা পুতুল। যা নির্মলতার প্রতীক, বলে দাবি আয়োজকদের। বিশ্ববিদ্যালয়টির চারুকলার ২২ ও ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কর্মযজ্ঞে এবারের মঙ্গলশোভা যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রার অন্যতম তিন মোটিফ

মঙ্গল শোভাযাত্রা: প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে আয়োজিত একটি তুলনামূলকভাবে নতুন বর্ষবরণ উৎসব। প্রতিবছর এই দিনটিকে ঘিরে থাকে বিশাল আয়োজন। তবে করোনা মহামারির প্রকোপে ২০২০ সালে হয়নি মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০২১ সালেও হয় সীমিত পরিসরে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে এ মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন শুরু হয়। ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ পরিচয় নির্বিশেষে সব পেশার, সব শ্রেণির মানুষ শামিল হন মঙ্গল শোভাযাত্রায়। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশের ঢাকা শহরে এটি প্রবর্তিত হয়। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব হিসেবে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

নেচে-গেয়ে শিক্ষার্থীদের মঙ্গল শোভাযাত্রা

ইউনেস্কো স্বীকৃতি: জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর