কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে (কুবি) যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ আর্টস (ইউসিএ) কালো তালিকাভুক্ত করেছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। সংবাদটি বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য উক্ত চ্যানেলকে দ্রুতই আইনি নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) মোবাইল ফোনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম আবদুল মঈন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করায় খুব দ্রুতই সেই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লিগ্যাল অ্যাকশন নিব। তাদের উকিল নোটিশ পাঠানো হবে।
এর আগে, গত ২১ এপ্রিল দেশের বেসরকারি একতি টেলিভিশন চ্যানেল 'যুক্তরাজ্যে কালো তালিকায় দেশের ৫ বিশ্ববিদ্যালয়' শীর্ষক একটি সংবাদে দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়' এর নামও উল্লেখ করা হয়। কুবির প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে সংবাদটি সরিয়ে নিলেও শনিবার (৩০ এপ্রিল) একই চ্যানেলে 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কালো তালিকাভুক্ত' শীর্ষে ফের প্রতিবেদন করে। এই দুই প্রতিবেদনই বিভ্রান্তিকর দাবি করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বেসরকারি টেলিভিশনটির পর পর একই ধরনের সংবাদের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমি জানি না কেন সহজ একটা বিষয়কে এভাবে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বানান আর ইউসিএ'র ওয়েবসাইটে দেওয়া নামের বানানে পার্থক্য রয়েছে। আমার কাছে এটা প্রোপাগান্ডা মনে হচ্ছে।
সর্বশেষ প্রতিবেদনে নামের বানান নিয়ে করা প্রশ্নের আলোকে তিনি বলেন, জেলার নামের বানান পরিবর্তনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বানান পরিবর্তনের কি সম্পর্ক? চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বানান আগে যেরকম ছিল এখনও সেরকম। অথচ চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরেরও ইংরেজি নামের বানান পরিবর্তন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনে চিঠি দেয়ার প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, এ বিষয়ে আমরা ইউজিসিকে চিঠি দিব। আমরা সরাসরি ব্রিটিশ হাইকমিশনে যেতে পারি না। আমাদের হয়ে ইউজিসি তাদের সাথে কথা বলবে।
প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইউসিএ কে করা মেইলের উত্তর এসেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও মেইলের উত্তর পাইনি। আজ (শনিবার) তো আর সম্ভব না। সোমবার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমি সরাসরি যোগাযোগ করবো।
বিষয়টি দ্রুত সমাধানের যথাসম্ভব চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে উপাচার্য মঈন বলেন, আমি জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এ নিয়ে হতাশা কাজ করছে। এটা স্বাভাবিক। আমি যদি শিক্ষার্থীদের জায়গায় থাকতাম আমারও একই অবস্থা হতো।