হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদ ও রাষ্ট্রীয় নিন্দা জানানোর দাবিতে সম্মিলিত কণ্ঠে বিখ্যাত নাত ‘ত্বালা আল বাদরু আলাইনা’ গেয়ে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১২ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত কণ্ঠে বিখ্যাত নাত গেয়ে এ প্রতিবাদ জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যান্ড সিলসিলাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত কণ্ঠে রাসুলের (সা.) শানে নাত পরিবেশন করেন। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, হল ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও অংশ নেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু বলেন, আমরা যে জন্য আজকে এখানে দাঁড়িয়েছি, যে মানবতার মহানায়কের জন্য, তার চরিত্রের সার্টিফিকেট স্বয়ং আল্লাহ দিয়েছেন। আমরা তার সম্মানার্থে এখানে দাঁড়িয়েছি। তাকে অপমান করার ক্ষমতা কারোর নেই। যারা এ আয়োজন করেছে তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান হোসেন বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ মানব রাসুলের (সা.) চরিত্র মহান আল্লাহ নিজেই কুরআনে বলেছেন। এটা আমরা জানি। বিভিন্ন যুগে রাসুলকে (সা.) নিয়ে আগেও এরকম হয়েছে, এখনো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। তবে আমাদের ঈমানি দায়িত্ব থেকে যতটুকু প্রতিবাদ করা দরকার আমরা তা করব ইনশাআল্লাহ।
এসময় কুজা মান কুজা, ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ, মাওলা ইয়া সাল্লি ওয়াসাল্লিম, রাসুলের অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন প্রভৃতি গানের দ্যোতনায় মুখরিত হয়ে ওঠে ঢাবির টিএসসি এলাকা।
প্রসঙ্গত, ত্বালা’ আল বাদরু আলাইনা একটি ঐতিহ্যবাহী ইসলামি গজল/গান, যাকে ইসলামি পরিভাষায় নাশিদ বলা হয়ে থাকে। হযরত মুহাম্মদ (সা.) যখন আল্লাহর নির্দেশে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন, তখন মদিনার লোক জন (যাদের আনসার বলা হয়)/ আনসার সদস্যগণ এই গান/গজল গেয়ে তাকে তাদের মধ্যে বরণ করে নিয়েছিলেন। গজলটি ১৪০০ বছরেরও বেশি পুরনো এবং ইসলামি সংস্কৃতির একটি অনন্য নিদর্শন।