ঢাবি থেকে বহিষ্কৃত হবার পরও হলে থাকার অভিযোগ!

বিবিধ, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 02:48:12

ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল ও স্থায়ী বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতো কিছুর পরও তারা হলে থাকছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হল কর্তৃপক্ষের দাবি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা।

বহিষ্কৃত হয়েও হলে থাকা ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন- মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী মো. বায়েজিদ। আরেকজন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের মো. মাসুদ রানা।

জানা যায়, সিআইডির তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ১৫ জনকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। এরমধ্যে, ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি বহিষ্কৃত হন মো. বায়েজিদ। মাসুদ রানাকে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট থেকে বহিষ্কার করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে বায়েজিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ৩২১ নং কক্ষে নিয়মিত থাকছেন। হলে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বায়েজিদ বলেন, আমি নিয়মিত হলে থাকি না। বরং মাঝে মাঝে বন্ধুদের কাছে আসি।

এ বিষয়ে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। এখনও বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। এরকম হয়ে থাকলে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিব।

অন্যদিকে, বহিষ্কারাদেশের পরও প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের ২২ নং কক্ষে অবস্থান করতেন মাসুদ রানা। সর্বশেষ গত মাসের শেষের দিকে হল ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তবে হল ছেড়ে দেওয়া সিট নিয়ে হল ছাত্রলীগের দু’পক্ষের উত্তেজনার পর তার হলের থাকার বিষয়টি সামনে চলে আসে।

জানা যায়, ডাকসুর আলটিমেটামের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ৬৩ জন বহিষ্কৃতের তালিকাও প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। ওই তালিকার ৩১ নম্বরে ছিল মাসুদ রানার নাম।

এদিকে, মাসুদ রানা হলের থাকার বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি করে সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের বর্তমান প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান বলেন, আমি তো করোনার সময়ের মধ্যে প্রাধ্যক্ষ হয়েছি। এটা আমাকে কেউ বলেনি। এখন তো সে হল থেকে চলে গেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শুধু বহিষ্কৃতরা না; অনেক অছাত্র ও বাহিরের লোকজন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংঘঠনের প্রভাব খাটিয়ে হলের সিট দখল করে থাকছেন। প্রশাসন যদি বিষয়গুলো আমলে নিতো তাহলে হলের সিট সংকট কিছুটা কমতো। আমাদের গণরুমে এভাবে পঁচতে হত না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর