জিপিএ-৫ পেয়েও রাবির ‘সি’ ইউনিটে মেলেনি আবেদনের সুযোগ

, ক্যাম্পাস

আছিয়া খাতুন, রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-29 18:30:51

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২১-২২ সেশনে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টায় এই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে তিনটি পর্যায়ের এই চুড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়ায় প্রথম পর্যায়ে জিপিএ-৫ পেয়েও ‘সি’ ইউনিটে অনেক শিক্ষার্থীর আবেদনের মেলেনি সুযোগ ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞাপ্তিতে দেখা যায়, প্রথম পর্যায়ের চুড়ান্ত আবেদনে ‘সি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখা) বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ ব্যতীত আবেদনের সুযোগ পায়নি।

অন্যদিকে ‘এ’ ইউনিটে (মানবিক শাখা) বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে জিপিএ-৫, জিপিএ-৪.৪৭ এবং জিপিএ-৪.৯২ এবং ‘বি’ ইউনিটে (বাণিজ্য শাখা) বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে জিপিএ-৫ এবং জিপিএ ৪.৫৮ পেয়ে চুড়ান্ত আবেদনের সুযোগ পেয়েছে।

এ বিষয়ে আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, ‘সি’ ইউনিটে প্রাথমিক আবেদন বেশি জমা পরেছে। এছাড়া এই ইউনিটে আবেদনকৃতদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম পর্যায়ে চুড়ান্ত আবেদনের তালিকা প্রকাশ করেছি। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত ৭২ হাজারের মধ্যে সকলের জিপিএ-৫ থাকার পাশাপাশি অন্যদের তুলনায় উচ্চ মাধ্যমিকে তাদের নম্বরও বেশি। ফলে তারা প্রথম পর্যায়ে চুড়ান্ত আবেদনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে জিপিএ-৫ পাওয়া সত্ত্বেও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষায় যাদের প্রাপ্ত নম্বর তুলনামুলকভাবে কম তারা প্রথম পর্যায়ে চুড়ান্ত আবেদনের সুযোগ পায়নি।

অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা যদি আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেন সে সাপেক্ষে পরবর্তী মেধাক্রমের ভিত্তিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২২ জুন এবং তৃতীয় পর্যায়ে ২৬ জুন চুড়ান্ত আবেদন তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর ফলে আপেক্ষাকৃত কম নম্বর এবং জিপিএ প্রাপ্তরা পরবর্তী পর্যায়ে চুড়ান্ত আবেদনের সুযোগ পাবে।

উল্লেখ্য, এবারে রাবির ভর্তি পরীক্ষায় তিনটি ইউনিটে ২ লাখ ১০ হাজার ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে। তিনটি পর্যায়ে চুড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোনিত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৫-২৭ জুলাই প্রতিদিন চার শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি শিফটে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। বহুনির্বাচনী প্রশ্নে অনুষ্ঠিত ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় মোট ৮০টি প্রশ্নের জন্য সময় থাকবে এক ঘণ্টা। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১.২৫। প্রতিটি ভুল উত্তরের ০.২০ নম্বর কাটা হবে। অর্থাৎ ৫টি ভুল উত্তরের জন্য ১ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় নূন্যতম পাস নম্বর ৪০।

এ সম্পর্কিত আরও খবর