শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ ও প্রিন্টমেকিং বিভাগের যৌথ উদ্যোগে দেশের ৭ জন বিশিষ্ট শিল্পীকে ‘শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদ সম্মাননা-২০২২’ প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়টির চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় এক অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন- শিল্পী অধ্যাপক মোহাম্মদ কিবরিয়া (মরণোত্তর), শিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবী, শিল্পী মনিরুল ইসলাম, শিল্পী অধ্যাপক মাহমুদুল হক, শিল্পী কালিদাস কর্মকার (মরণোত্তর), শিল্পী শহিদ কবীর এবং শিল্পী অধ্যাপক আবুল বারক্ আলভী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলা জগতের পথিকৃৎ শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি অত্যন্ত সৎ, নিষ্ঠাবান, বিনয়ী, শান্ত ও স্বল্পভাষী মানুষ ছিলেন। সাহসী এই শিল্পী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে অসংখ্য ছবি এঁকেছেন। শিল্পের উৎকর্ষ সাধনে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তার জীবন, কর্ম, শিল্প ও রুচিবোধ, দেশপ্রেম, ক্সশল্পিক চিন্তা এবং মানবিক মূল্যবোধ বহন করে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রিন্টমেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, শিল্পী আহমেদ নাজির, দুর্জয় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দুর্জয় রহমান জয়, শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদ জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানা, সদস্য-সচিব অধ্যাপক মো. আনিসুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, দেশের আধুনিক ছাপচিত্রের জনক শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদ। ছাপচিত্রের পাশাপাশি রেখাচিত্র ও তেলচিত্রের ভুবনকেও উৎকর্ষমণ্ডিত করেছেন এই পথিকৃৎ শিল্পী। দেশের শিল্প-আন্দোলন ও প্রয়াসকে নানাভাবে সঞ্জীবিত করেছেন। ১৯২২ সালের সালের ২৩ জুন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এ বরেণ্য শিল্পী।