রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে মানবিক অনুষদভুক্ত 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল অনুযায়ী গ্রুপ-২ এ প্রথম হয়েছেন এক প্রক্সি পরীক্ষার্থী। এছাড়া একই ইউনিটের গ্রুপ-৩ এ আরেক প্রক্সি পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, 'এ' ইউনিটের গ্রুপ-২ এ প্রথম হয়েছেন ৩৯৫৩৪ রোলের পরীক্ষার্থী তানভীর আহমেদ। যার হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়ে একবছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন প্রক্সিদাতা বায়জিদ খান। এছাড়া গ্রুপ-৩ এ মেধাতালিকায় ৬ হাজার ৯২১তম হয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬২৮২৮ রোলের পরীক্ষার্থী মোছা. ইশরাত জাহান। যার হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়ে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন প্রক্সিদাতা জান্নাতুল মেহজাবিন। এছাড়া বাকি দুজন প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলে এক্সপেলড দেখানো হয়েছে।
পরীক্ষায় প্রক্সির বিষয়টি ধরা পরা সত্ত্বেও কেন দুজনকে এক্সপেলড দেখানো হয়নি? এ বিষয়ে জানতে 'এ' ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ইলিয়াস হোসাইনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিট সমন্বয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।
এর আগে, গত ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিত 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৪ প্রক্সিদাতাসহ একজন প্রক্সি পরীক্ষার্থী ধরা পরে। এঘটনায় ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োজিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এখলাছুর রহমান ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনে রোল ১৭২২৮-এর পরীক্ষার্থী লিমনের হয়ে, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে রোল ৬২৮২৮-এর পরীক্ষার্থী মোছা. ইশরাত জাহান হয়ে, রাবির ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী বায়জিদ খান সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনে রোল ৩৯৫৩৪-এর পরীক্ষার্থী তানভির আহমেদ হয়ে এবং খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রভাষক ডা. সমীর রায় শেখ রাসেল মডেল স্কুলে রোল ৮৪৬৪৮-এর পরীক্ষার্থী এস এম রাহাত আমীন রিয়াদের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
এ ঘটনায় জান্নাতুল মেহজাবিনকে দুই বছর, এখলাছুর রহমান, বায়জিদ খান ও ডা. সমের রায়কে ১ বছর এবং ডা. সমেরকে নিজের পরীক্ষার আসনে বসানো শিক্ষার্থী এস এম রাহাত আমীনকে ক্যাম্পাসে পাওয়ার পর আটক করে তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।